দ্রৌপদীকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বললেন অধীর, ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব বিজেপি

বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রীদের বিক্ষোভর জেরে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। একই দাবিতে সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি নেতৃত্ব।

সদ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়া দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhuri)। দেশের সাংবিধানিক প্রধানকে কটাক্ষ করার জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবি তুলে স্মৃতি ইরানি ও নির্মলা সীতারমণ সহ বিজেপির (BJP) সাংসদরা লোকসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রীদের বিক্ষোভর জেরে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। একই দাবিতে সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি নেতৃত্ব।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বুধবার সোনিয়া গান্ধীকে তৃতীয়বার ইডির জেরার মুখে পড়তে হয়। তারই প্রতিবাদে ধরনায় বসেন অধীর চৌধুরী সহ কংগ্রেস সাংসদরা। সেই সময় এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে বসেন অধীর চৌধুরী। সেই ভিডিও সামনে আসতেই ফুঁসে ওঠে বিজেপি। আসরে নেমে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, “সোনিয়া গান্ধী দেশের সর্বোচ্চ আইনসভায় একজন মহিলাকে এভাবে অপমানিত হতে দিলেন। তিনি আদিবাসী বিরোধী, দলিত বিরোধী এবং নারী বিদ্বেষী।” তার পরেই স্মৃতি ইরানি, অধীরকে দ্রুত ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন। এই বিষয়ে মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, এটা দেশের আদিবাসী সম্প্রদায় এবং রাষ্ট্রপতির অপমান। অধীরের এখনই ক্ষমা চাওয়া উচিত। সোনিয়া গান্ধীরও ক্ষমা চাওয়া উচিত এই ধরনের লোককে এত বড় পদে নিয়োগ করার জন্য।

অধীরের মন্তব্যে দল অস্বস্তিতে পড়লেও তিনি ক্ষমা চাইতে নারাজ। তিনি বলেন, “তিনি রাষ্ট্রপতি বলতে গিয়েই ভুল করে রাষ্ট্রপত্নী বলে ফেলেছেন। এতে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। বিজেপি তিল থেকে তাল করার চেষ্টা করছে। এই ভুলের জন্য যদি আমাকে ফাঁসিতে চড়ানো হয়, তাহলে চড়ানো হোক।” নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছ থেকে সময়ও চেয়েছেন অধীর।

 

 

Previous articleশিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রকাশ্যে নয়া অভিযোগ, মামলা দায়েরের অনুমতি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের
Next articleকরোনায় দেশে কতজন চিকিৎসকের মৃত্যু? কোনও উত্তর নেই সরকারের কাছে