‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্য বিতর্ক: এবার পাল্টা স্মৃতির ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালেন অধীর 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে নাম ধরে ডেকেছেন বলে দাবি করে লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন অধীর।

‘রাষ্ট্রপত্নি’ মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এই মন্তব্যের জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। এবার বহরমপুর সাংসদের নিশানায় বিজেপির স্মৃতি ইরানি। তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে লোকসভায় ডামাডোল চলকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে নাম ধরে ডেকেছেন বলে দাবি করে লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন অধীর। এরজন্য স্মৃতি ইরানিকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছেন।লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে অধীর জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নাম নেওয়ার সময় ন্যুনতম সৌজন্য দেখাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। স্মৃতি রাষ্ট্রপতি বা ম্যাডাম বা শ্রীমতি শব্দটি ব্যবহার না করে সংসদে চিৎকার করে বারবার শুধুমাত্র দ্রৌপদী মুর্মু বলে চিৎকার করে যাচ্ছিলেন বলে অধীর অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনা মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদা করার সামিল বলে দাবি করেছেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিকে অমর্যাদার কারণে স্মৃতি ইরানিকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

অধীর আরও বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপত্নি’ মন্তব্য নিয়ে অযৌক্তিক বিতর্ক টেনে আনা হয়েছিল। তিনি যে হিন্দিতে খুব একটা অভ্যস্ত নন, তাও উল্লেখ করেছেন। আর এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য তিনি দুঃপ্রকাশ করেছেন। আর এ জন্য তিনি যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, স্পিকারকে লেখা চিঠিতে তারও উল্লেখ করেছেন।অধীরের আবেদনের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতিকে নাম ধরে ডাকার জন্য স্মৃতি ইরানি ক্ষমা চান কিনা, তা এখন স্পিকারের কোর্টে। শেষ পর্যন্ত অধীরের দাবি মেনে স্মৃতি ক্ষমা চান কিনা, সেটা সময়ই বলবে।

 

 

Previous articleগরুর গাড়িতে চেপে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব মিছিল মদন মিত্রের
Next articleকমনওয়েলথ গেমসে সোনার পদক জয়ী জেরেমিকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রীর