ঘরের ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গি। খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনার (Indian Army) ২৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেল বাহিনী। রুদ্ধশ্বাস ওই তল্লাশি অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছিল, ২৬ আর্মি ডগ ইউনিটের দুই সেনা কুকুর (Army Dog) অ্যাক্সেল (Axel) ও বাজাজ। অ্যাক্সেল নামের ওই কুকুরটিকে নিয়ে তার প্রশিক্ষক ঘরে ঢুকতেই উল্টোদিক থেকে ছুটে আসে মুহুর্মুহু গুলি। কমপক্ষে তিনটি গুলি লাগে অ্যাক্সেলের। তারপরেও নিজের কর্তব্যে অনড় থাকে ওই সারমেয়। ছুট্টে গিয়ে কামড় দেয় ওই জঙ্গিকে। সেনার হাতে ধরা পড়ে ওই জঙ্গি। কিন্তু ততক্ষণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে অ্যাক্সেল। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরের বারামুলায়। সেনা কুকুরের মৃত্যুতে শোকাহত ২৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেল ও চিনার কর্পসের সেনারা। রবিবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, গুলির আঘাত ছাড়াও অ্যাক্সেলের দেহে আরও দশটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল ফিমার বোন। সেনা সূত্রে খবর, আট ঘণ্টা গুলির লড়াইয়ে আখতার হুসেন ভাট নামে আর এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য ছিল ওই জঙ্গি। অন্যদিকে জঙ্গির গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান ও এক পুলিশকর্মী। আহতদের মধ্যে ছিলেন অ্যাক্সেলের প্রশিক্ষকও। তাঁর আঘাত গুরুতর নয় বলেই সেনা সূত্রে খবর। ঘটনাস্থল থেকে একটি রাইফেল ও তিনটি ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, জুলাইতেই দু বছরে পা দিয়েছিল বেলজিয়ান মালিনোয়া প্রজাতির এই কুকুরটি। মূলত শহরাঞ্চলে তল্লাশির জন্য সম্প্রতি এই প্রজাতির কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এদের প্রখর বুদ্ধি, ক্ষিপ্রতা ও অসম্ভব সহ্যশক্তি জন্যই এরা বিখ্যাত। নিজের জীবন দিয়ে সেটাই প্রমাণ দিয়ে গেল অ্যাক্সেল।
