লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন, এবার টিকিট বণ্টনে স্বচ্ছতা রাখার নির্দেশ অভিষেকের

মঙ্গলবার উত্তরের আরও তিন জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দ্বিতীয়দিনে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক

সামনেই (২০২৩) রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে দেশজুড়ে। ২০২৪-এর লোকসভার ভোটই পাখির চোখ। রাজ্য থেকে চাই ৪২-এ ৪২! তার আগে সংগঠনকে ঝালিয়ে নিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নজরে পঞ্চায়েত ভোট। পার্থ অস্বস্তি কাটিয়ে গতকাল, সোমবার থেকে বিভিন্ন জেলার (বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের) নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার মধ্যেই জেলায় জেলায় সাংগঠনিক শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদল এনেছে ঘাসফুল শিবির। আগস্টের প্রথমদিনই উত্তরের তিন জেলা (জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং) নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের একগুচ্ছ নির্দেশ-সহ সামগ্রিকভাবে বেশকিছু কড়া বার্তাও দেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটে কোনওরকম দাদাগিরি-নেতাগিরি চলবে না। নেতৃত্বের কাছে এটাই ছিল অভিষেকের মূল বার্তা।

কিন্তু তিনি থামার পাত্র নন। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই আজ, মঙ্গলবার উত্তরের আরও তিন জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দ্বিতীয়দিনে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক। যেখানে আগেরদিনের মতোই হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এছাড়াও ছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতি, যুব সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান ও বিধায়করা৷

এদিনের বৈঠকে জেলা নেতৃত্বের কাছে কমন বার্তা ছিল অভিষেকের। তা হল, একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে যারা কাজ করবেন সেই স্থানীয় নেতৃত্বকে আরও বেশি দায়িত্বশীল করতে উদ্যোগী দল। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, জনসংযোগে দক্ষ, কাজ করার মানসিকতা আছে এমন ব্যক্তিত্বকেই যে সাংগঠনিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠ ভোট করতে হবে। কোনও রকমের অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না। কে কতবড় নেতা, কত লোকের জমায়েত করতে পারে সেটা গৌণ। ভোট বাক্সে ভিড়ের প্রতিফলন চাই। কোনও দলাদলি নয়, সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে। সর্বোপরি পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বণ্টনে স্বচ্ছতা রাখতে হবে। এমন কাজ করা যাবে না, যাতে সামগ্রিকভাবে দলের ইমেজ নষ্ট হয়।

আরও পড়ুন- দোষী হলে আইনি পথে শাস্তি হবে, পার্থকে জুতো ছোঁড়া সমর্থনযোগ্য নয়, মন্তব্য কুণালের

 

Previous articleডার্বি নিয়ে মোহনবাগানকে খোঁচা লাল-হলুদ কর্তার, ক্লাবের ওপর সমর্থকদের ভরসা রাখতে বললেন বিনো জর্জ
Next articleকমনওয়েলথ গেমসে লন বোলে সোনা ভারতের, সোনা জয় টেবল টেনিসেও