ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের টাকা উদ্ধারে কলকাতার ব্যবসায়ী যোগ! ‘অপারেশন লোটাসকে’ ডোন্ট কেয়ার হেমন্তের

হাওড়ার পাঁচলা থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সময় যত গড়াচ্ছে সামনে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়কদের (Congress MLA) গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবার সিআইডির তদন্তে উঠে আসছে কলকাতার এক অভিজাত ব্যবসায়ীর (Businessman) নাম। মঙ্গলবার, সকালে হেয়ার স্ট্রিটে (Hare Street) ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা (CID)। বাড়ির পাশাপাশি অফিসের তালা ভেঙেও তল্লাশি চালানো হয় বলে খবর। হাওয়ালার (Hawala) মাধ্যমে কলকাতায় টাকা এসেছিল বলে তদন্তে জানা যাচ্ছে। আর কলকাতায় বসেই ওই হাওয়ালা চক্র চালাচ্ছিলেন লালবাজারের অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে ইডির লাইমলাইটে আসেন কলকাতার হেয়ার স্ট্রিটের ওই বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ (Interrogation) শুরু করেছেন রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা।

তবে এসবকিছুতে ভয় পাচ্ছেন না ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। জানান, “অপারেশন লোটাস আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না।“ কংগ্রেসের ৩ বিধায়কের গ্রেফতারি ইস্যুতে তিনি বলেন, কংগ্রেস বিধায়কদের সমস্ত প্ল্যান বানচাল হয়ে গিয়েছে। পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি বিজেপিকে একহাত নিয়ে হেমন্ত বলেন, বিজেপি ঝাড়খন্ডের মজবুত লোকতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই এসব করছে। তবে তিনি এই নিয়ে কখনই বিচলিত হবেন না।

গত শনিবার কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে এসে ওঠেন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস (Congress MLA) বিধায়ক। হোটেলের ১০৬ নম্বর ঘরে দুপুর ৩টে ৮ মিনিট নাগাদ ঢোকেন অভিযুক্ত সাংসদরা। তবে শুধু ৩ বিধায়কই নয়, তাঁদের সঙ্গে হোটেলের ঘরে ছিলেন আরও একজন। এরপর দুপুর ৩টে ১৪ মিনিটে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যায় ৪ জন। হোটেলে কোনও এন্ট্রি না করেই ১০৬ নম্বর ঘরে তাঁরা পৌঁছে যান বলে খবর। প্রশ্ন উঠছিল নগদ ৪৯ লক্ষ টাকা ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের কাছে কীভাবে এলো? আর সেই তথ্য অনুসন্ধানে নেমেই হেয়ার স্ট্রিটের এই ব্যবসায়ীর খোঁজ পায় সিআইডি।

সিআইডি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত কংগ্রেসের ৩ বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি কুমার সঞ্জয় ওইদিনই হেয়ার স্ট্রিট থেকে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর এক ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে হোটেলে আসেন। বিধায়ক কেনাবেচা ও টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩ বিধায়ক সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি, রাজেশ কাচ্ছাপ ও বিক্সল কোঙ্গারিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছে মেলে নথিবিহীন প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আর সময় যত এগোচ্ছে ততই প্রকট হচ্ছে রাজনীতির জাল।


Previous articleViral: শুঁড় যখন আঁকশি ! গাছ থেকে কাঁঠাল পাড়লেন গজরাজ
Next articleচলন্ত ট্রেনেও এবার মিলবে রিজার্ভেশন টিকিট !