ঝাড়খণ্ড-বিধায়ককাণ্ডের তদন্তে দিল্লির পরে অসমে আটক সিআইডি-র ৪ আধিকারিক

বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা অমিত শাহের অধীনে রয়েছে দিল্লি পুলিশ। এবং ইচ্ছে করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কেন্দ্রের কাণ্ডে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ইতিমধ্যেই।

তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, এবার বাংলার গোয়েন্দাদের আটকে দিল দিল্লির পুলিশ (delhi Police)। দিল্লির সাউথ ক্যাম্পাস থানায় তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে বলে বাংলার সিআইডি (CID) টুইট করে জানিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) তিন কংগ্রেস বিধায়কের (Congress MLA) গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের তদন্তে গিয়ে দিল্লি পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছে বলে দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি (CID)। দিল্লির পরে অসমে আটক সিআইডি-র ৪ আধিকারিক।

বাংলার অফিসারদের কাজে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্র। এবার সরাসরি আটক করার রাস্তা বেছে নিল দিল্লি। দিল্লি পুলিশের হাতে আটক সিআইডি-র চার আধিকারিক। সূত্র মারফত জানান যায় দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম ক্যাম্পাস থানায় আটকে রাখা হয়েছে সিআইডি-র ১ জন ইন্সপেক্টর, ২ জন আইএস ও ১ জন এএসআই- কে। জট কাটাতে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন ১ জন এডিজি, ২ জন আইজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার সহ রাজ্য পুলিশের ৩ শীর্ষ কর্তা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা অমিত শাহের অধীনে রয়েছে দিল্লি পুলিশ। এবং ইচ্ছে করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কেন্দ্রের কাণ্ডে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ইতিমধ্যেই।

উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই শনিবার হাওড়ার পাঁচলায় বিপুল টাকাসহ ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে আটক করে রাজ্য পুলিশ। পরে ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এই মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। টাকা পাচার মামলায় দিল্লির এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যাওয়ার পরেই সেখানে দিল্লি পুলিশ গিয়ে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে সিআইডি । তবে সিআইডির এই অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের সাফাই দিয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সার্চ ওয়ারেন্টে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে যার নাম ছিল, সেই অফিসার তদন্ত দলে নেই। অন্য কোনও তদন্তকারী অফিসার এসেছেন। সব দিক দেখে পদক্ষেপ করা হয়েছে। দিল্লির পরে অসমে আটক করা হয়েছে সিআইডি-র চার জন আধিকারিককে। রাজ্য বনাম কেন্দ্র সংঘাত নতুন নয়। বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এবার বাংলার গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারদের যেভাবে আটক করা হয়েছে তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।


Previous articleপ্রধানমন্ত্রী হতে পারেন রাহুল ! লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীর বক্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
Next articlePMLA নিয়ে সুপ্রিম রায় ‘বিপদজ্জনক’, সমীক্ষার দাবি তৃণমূল সহ ১৭ বিরোধী দলের