PMLA নিয়ে সুপ্রিম রায় ‘বিপদজ্জনক’, সমীক্ষার দাবি তৃণমূল সহ ১৭ বিরোধী দলের

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে(পিএমএলএ) কঠোর পদক্ষেপের সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত(supreme court)। আদালতের এহেন সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতাশা প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতি দিল তৃণমূল(TMC) সহ ১৭ টি রাজনৈতিক দল ও নির্দল সাংসদ কপিল সিবাল(Kapil Sibal)। এক্ষেত্রে সমীক্ষার দাবি তোলার পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তকে ‘বিপদজ্জনক’ বলে দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে।

সুপ্রিম রায়ের পর বুধবার বিরোধী দলগুলির তরফে জারি করা বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। সরকার পক্ষ এই নির্দেশকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালাবে। এই বিবৃতিতে বিরোধীদের তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা আশা করব এই বিপদজ্জনক সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে দেখবে এবং সাংবিধানিক বিধান প্রযোজ্য হবে। PMLA, 2002 আইনে সংশোধনগুলিকে সম্পূর্ণভাবে রাখা হয়েছে কোনও রকম তদন্ত ছাড়াই। এর মধ্যে কিছু সংশোধনী অর্থনৈতিক আইনের মাধ্যমে করা হয়েছে। এই বিবৃতিতে যে ১৭ টি রাজনৈতিক দলকে সাক্ষর করতে দেখা গিয়েছে সেগুলি হল, কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, আপ, এনসিপি, শিবসেনা, সিপিআইএম, সিপিআই, আইইউএমএল, আরএসপি, এমডিএমকে, আরজেডি, আরএলডি সহ আরও একাধিক দলকে।

এবিষয়ে একটি টুইটও করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। টুইটে তিনি লেখেন, তৃণমূল এবং আম আদমি পার্টি সহ ১৭টি বিরোধী দল এবং সেইসঙ্গে একজন স্বতন্ত্র রাজ্যসভার সাংসদ একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিরোধী নেতৃত্ব PMLA, 2002 সংশোধন ও পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট পিএমএলএ আইনের সংশোধনী বহাল রাখার রায় দেয়। এর ফলে ইডির মতো একাধিক সংস্থার হাতে বিস্তৃত ক্ষমতা চলে আসে। যা চ্যালেঞ্জ করে অন্তত ২৫০টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি অর্থ বিলের মাধ্যমে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে সংশোধন ভুল বলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, তা হলে ইডির অধিকাংশ ক্ষমতাও বাতিল হয়ে যাবে। কারণ ওই আইনে সংশোধনের মাধ্যমেই ইডিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইডির ক্ষমতায় সিলমোহরে শীর্ষ আদালতের রায়ও নিস্ফলা হয়ে যাবে। বিরোধীরা সম্মিলিত ভাবে সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাবে বলেও স্থির হয়েছে। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় তল্লাশি, গ্রেফতারি-আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় নেওয়া বয়ানকে ইডি প্রামাণ্য হিসেবে আদালতে পেশ করতে পারবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সুদূরপ্রসারী প্রভাব নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে এ বার বিবৃতি জারি করল বিরোধীরা।


Previous articleঝাড়খণ্ড-বিধায়ককাণ্ডের তদন্তে দিল্লির পরে অসমে আটক সিআইডি-র ৪ আধিকারিক
Next articleপ্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী: সাঁওতালি ভাষায় শপথ নিলেন বীরবাহা