ঐতিহ্যশালী পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) গর্ভগৃহে ভাঙন। খসে পড়ল জগন্নাথ মন্দিরের দেওয়ালের প্লাস্টার। বুধবার, গর্ভগৃহে বলরামের বিগ্রহের পিছনের বেশ কিছুটা অংশ আচমকাই খসে পড়েছে বলে খবর। তবে, ঘটনায় কোনও বড় ক্ষতি যায়নি। দ্রুত মন্দির মেরামতির (Repair) কাজ শুরু হয়েছে বলে মন্দির সূত্রে খবর।

পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনা সামনে আসতেই পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরা আশঙ্কায় পড়েন। ঘটনায় উদ্বিগ্ন মন্দির কমিটিও। পরে পুলিশ (Police) ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় কেজি ওজনের প্লাস্টারের চাঁই সরিয়ে নিয়ে যায়। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, ওটা লাইমস্টোনের একটা অংশ। ইতিমধ্যে পুরীর মন্দিরের দুর্ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে (ASI)।

মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সকালে জগন্নাথদেব, বলরামদেব ও সুভদ্রার স্নানের পর্ব শেষের পর তাঁদের বেশভূষা পরানো হচ্ছিল। আর সেই সময়ই মন্দিরের ভিতরে আচমকা বলরাম দেবের বিগ্রহের পিছনের দেওয়াল থেকে দেড় কেজি ওজনের ওই প্লাস্টারের চাঁই খসে পড়ে। দ্বাদশ শতাব্দীর প্রাচীন পুরীর মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই তাদেরও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে বলে জানান মন্দির উন্নয়ন কমিটির প্রধান অজয় কুমার জানা। এদিকে দেওয়াল খসে পড়ার ঘটনায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন পুরীর মন্দিরের সেবায়েতরা।

মন্দিরের এক সেবায়েতের অভিযোগ, রথযাত্রার সময় যখন পুরীর মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে গর্ভগৃহ থেকে বের করে মাসিরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর এএসআইয়ের আধিকারিকরা গর্ভগৃহের অবস্থা পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন। সেই সময় মন্দিরের দেওয়ালের ফাটল কীভাবে তাঁদের চোখ এড়িয়ে গেলো? ওনাদের কর্তব্যে গাফিলতির জন্যই মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল থেকে প্লাস্টার খসে পড়েছে। কারও মতে, মন্দিরের পাথরের উপরে চুন, প্ল্যাস্টারের প্রলেপ দেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি।

তবে এএসআই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, গর্ভগৃহের ভিতরে ড্যাম্প থেকে এই প্লাস্টারের চাঁই খসে পড়েছে। এতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। গর্ভগৃহ সম্পূর্ণ সুরক্ষিতই রয়েছে। শীঘ্রই খসে পড়া অংশটিরও মেরামতি করা হবে।
