অনুব্রত মণ্ডলকে যখন বাড়ি থেকে সিবিআই নিয়ে যাচ্ছিল তখন সেখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। স্থানীয় থেকে শুরু করে তাঁর অনুগামী ভিড় করেছিলেন গোটা এলাকায়। কিন্তু, শনিবার দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য ছবি। বাড়ির সামনে জনমানব নেই, একেবারেই শুনশান। বাড়ির উপর রয়েছেন মেয়ে। নীচে নিরাপত্তারক্ষীরা এখনও রয়েছেন। বাড়ির কয়েকজন পরিচারিকা নিজেদের মধ্যে কাজ করছেন। কিন্তু, তাঁরা কোনও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না।
প্রতিদিন দুপুরে বাড়ির দোতলা থেকে নবনির্মিত গাড়ি গ্যারেজে আমদরবার বসাতেন অনুব্রত। তার আগে ঘণ্টাখানেক ধরে পুজো করতেন। দলের নেতা কর্মী থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে যেতেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করতেন। আবার মধ্যাহ্ন ভোজের পর দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, নয়তো দলীয় কর্মসূচিতে বেরিয়ে যেতেন। বাড়িতে ফিরেই মধ্যরাত পর্যন্ত গল্পগুজব করতেন কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে। সারাদিন গমগম করত বাড়ি। লোক লেগেই থাকত। কিন্তু, এখন এসব অতীত। এখন ওই বাড়ি একেবারেই নিস্তব্ধ।
বাড়িতে রয়েছেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তিনি সর্বক্ষণ কান্নাকাটি করছেন। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়াও পর্যন্ত করছেন না। তবে নিকটআত্মীয়রা সুকন্যার কাছাকাছি থেকে বাবার অভাবপূরণ করার চেষ্টা করছেন।