নিউ ইয়র্কে ভাষণ দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছেন বুকারজয়ী সাহিত্যিক সলমন রুশদি (Salman Rushdie)। তবে আগের তুলনায় স্থিতিশীল ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সলমন রুশদি। শনিবার সন্ধেয় তাঁকে ভেন্টিলেটর (Ventilator) থেকে বার করা হয়েছে। কথাও বলতে পারছেন লেখক। তবে আদালতে যেতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে অভিযুক্ত হাদি মাতার (Hadi Matar) দাবি করেন তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। বছর চব্বিশের ওই যুবকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও আক্রমণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার আদালতে তোলা হলে আপাতত অভিযুক্তকে কাউন্টি জেলে (County Jail) রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আপাতত জামিন (Bail) পাবে না বলেও সাফ জানিয়েছে আদালত। তবে, সলমন রুশদির উপরে হামলা নিয়ে ইরান সরকার (Iran Government) এখনও কোনো মন্তব্য না করলেও, ইরানের একাধিক সংবাদপত্রে সলমন রুশদির উপরে হামলার প্রশংসা করা হয়েছে। প্রশংসা করা হয়েছে হামলাকারী হাদি মাতারেরও।
নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ (New York State Police) এক বিবৃতিতে তরফে জানিয়েছে, মাতারকে বর্তমানে শাটুকা কাউন্টি জেলে রাখা হয়েছে। তাঁর সম্পর্কে আরও জানতে তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই (FBI)। হামলা প্রসঙ্গে হাদি মাতার মুখ খুলতে না চাইলেও, পুলিশ ও এফবিআইয়ের হাতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রমাণ এসেছে, যা থেকে পরিষ্কার হাদি শিয়া চরমপন্থীদের সমর্থক। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই ধরনের বেশ কিছু পোস্ট নজরে এসেছে। পাশাপাশি হাদির ফোনে ইরানের প্রয়াত কম্যান্ডার কাশেম সোলেমানির একটি ছবিও পাওয়া গিয়েছে।

নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলার শিকার হন সাহিত্যিক সলমন রুশদি। মঞ্চে সবেমাত্র বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদি। হঠাৎ করেই সবার নজর এড়িয়ে মঞ্চে উঠে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করেন এক হামলাকারী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে ঘাড়ে গলায় পরপর ছুরির আঘাত চলে প্রায় ২০ সেকেন্ড ধরে। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গোটা প্রেক্ষাগৃহের নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যেই ধরে ফেলা হয় আততায়ীকে। সালমান রুশদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাখা হয় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে।

