বিকিনির আগুনে ট্রেন্ডিং সোশ্যাল মিডিয়া, হ্যাশট্যাগে জর্জরিত সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়

গোটা সপ্তাহ জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকিনি (Bikini) পরা নানা মহিলাদের ছবি দেখে হতবাক নেটিজেনরাও। আসলে এসবই হল প্রতিবাদের প্রকাশ।

বিকিনি (Bikini) বিতর্কের আগুনে টগবগ করে ফুটছে সোশ্যাল মিডিয়া। জেভিয়ার্স (St. Xavier’s University) কান্ডের পর চারিদিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন শুধুই এই পোশাক বিতর্ক। সমাজকর্মী (Social activist) থেকে মনোবিদ, প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী থেকে অভিনেত্রী – সকলেই প্রতিবাদ করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social media)।

গোটা সপ্তাহ জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকিনি (Bikini) পরা নানা মহিলাদের ছবি দেখে হতবাক নেটিজেনরাও। আসলে এসবই হল প্রতিবাদের প্রকাশ। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (St Xavier’s University) শিক্ষিকার বিকিনি বিতর্কের পর থেকে যেন ক্ষোভের আগুন আরও বেশি করে জ্বলতে শুরু করেছে। একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার পোশাক কখনই তার ছাত্র ছাত্রীর কাছে বিড়ম্বনার বিষয় হতে পারে না অতএব কর্তৃপক্ষকে এই গোটা বিষয়টি বুঝতে হবে। বুধবার ফেসবুকে এই প্রচার অভিযান শুরু করেন রত্নাবলী (Ratnaboli Ray)। স্যুইমস্যুট পরা নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি । এখানেই থেমে না থেকে রত্নাবলী সকলকেই বিকিনি পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার আবেদন জানিয়ে সেন্ট জেভিয়ার্সের ঘটনার প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন। সঙ্গে জুড়েছেন হ্যাশট্যাগ ‘টেক দ্যাট জেভিয়ার্স’ (#takethatxaviers) । এই আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী (Bidipta Chakraborty)ও তাঁর বড় মেয়ে মেঘলা দাশগুপ্তও। হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন, ‘মাই বডি মাই রাইটস’ অর্থাৎ আমার শরীরে আমার অধিকার। পাশাপাশি সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির এই নিন্দনীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনিও। মনোবিদ পয়োষ্ণি মিত্র (Payoshni Mitra) তাঁর মা ও মেয়ের সঙ্গে সমুদ্রস্নানের সময় তোলা একটি ছবি পোস্ট করেন ফেসবুকে (Facebook) । সেখানে লেখেন, ‘স্যুইম স্যুটে আমরা তিন প্রজন্ম। আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজেদের ছবি পোস্ট করতে ভালোবাসি!’ এখানেই শেষ নয়, নিজের বিকিনি পরা ছবি পোস্ট করেন প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী তথা একদা এসএফআই নেত্রী অনিশা পাল (Anisha Pal)। ফ্রেঞ্চ কবি হেলেন সেক্সাসের একটি লেখাও কোট করে তিনি লেখেন, ‘দেহের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো মানেই দমবন্ধ হয়ে আসা, বাকস্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া। নিজের কথা লিখুন, আপনার শরীরের ভাষাও যেন শোনা যায়।’

পোশাক নিয়ে বিতর্ক আজ নতুন নয়। এর আগেও নানা বিতর্ক হয়েছে তবে এই প্রজন্ম এবং পরিস্থিতি পরিষ্কারভাবে গৌরবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সমাজকে বুঝিয়ে দিতে চায় যেকোনোভাবেই অন্যায়কে তারা বরদাস্ত করছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ার হ্যাশট্যাগ যেন সেই বিপ্লবের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Previous article‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’কে ‘আজাদ’ লিখে বিতর্কে জড়ালেন সিপিআইএম বিধায়ক কেটি জলিল
Next articleস্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কড়া নজরদারি রেড রোডে, কলকাতা জুড়ে নাকা চেকিং