গঙ্গার ভাঙন নিয়ে আতঙ্ক বৈদ্যবাটীতে

যে কোনও সময় গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে ১৫০- ২০০ টি বাড়ি

0
1

বৈদ্যবাটী পুরসভার চক্রবর্তী ঘাট ও রাজ বংশী পাড়ার নিমাই চিত্ত ঘাট গঙ্গার ঘাট তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গায়৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, যে কোনও সময় গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে ১৫০- ২০০ টি বাড়ি।এলাকাবাসীর অভিযোগ, আতঙ্কে বসবাস করতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

চক্রবর্তী ঘাটের শতাব্দী প্রাচীন একটি অশ্বত্থ গাছ গঙ্গার পার ভাঙ্গনে ফলে  উল্টে যায়৷ গাছের পাশে থাকা একটি শিব মন্দির গঙ্গার ভাঙ্গনে পড়ে। চক্রবর্তী ঘাটের পাশাপাশি বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে গঙ্গার পার ভাঙ্গনের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। গঙ্গা থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলাকেই দুষছেন তারা। তাদের দাবি, গঙ্গার পার ভাঙ্গন এবং শতাব্দী প্রাচীন গাছটিকে পুনঃস্থাপনের ব্যবস্থা করা হোক প্রশাসনের তরফ ।

রাজবংশী পাড়ার ঘাটের অবস্থা আরও বেহাল। সম্পূর্ণ ঘাট তলিয়ে গেছে গঙ্গায়। যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে সেটাতেও ধরেছে ফাটল।রাজবংশী পাড়ায় ১৫০- ২০০ টি মৎস্যজীবী পরিবার বসবাস করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে বসবাস করতে হচ্ছে গঙ্গার পাড়ে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রশাসনের লোকজন আসে। মাপজোক করেন মাঝে মধ্যেই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। রাতবিরেতে পেটের তাগিদে বেরোতে হয় এই ঘাট দিয়েই। তাঁদের দাবি প্রশাসনের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে, যেকোনও মুহূর্তে গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে তাঁদের বাড়ি ঘর৷ মূলত সমস্যাটা অনেকদিনের।

প্রসঙ্গত, শুধু বাসভূমিই নয়, স্কুলবাড়িও গঙ্গার ভাঙনে বিপন্ন।একেবারে কাছে চলে এসেছে গঙ্গা।জুলাই মাসে জানা যায়, এই পরিস্থিতিতেও হুগলির জিরাটের চরখয়রামারি প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস চলছে। সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানতে পেরে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেন,জিরাটের স্কুলের খবর সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি।এভাবে একটি স্কুল চলতে দেওয়া যায় না।যেখানে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জীবন বিপন্ন।’ আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল আসেন হুগলির বলাগড়ে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চর খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘুরে দেখেন সুদীপ্ত দাসগুপ্তর নেতৃত্বে র্পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তবে স্কুলের পাশাপাশি হুগলির বৈদ্যবাটী পুরসভার এই ঘাট সংলগ্ন বাড়িগুলি রক্ষা পাবে কিনা, আশঙ্কায় এবার এলাকাবাসী।