Reliance: জনস্বার্থ মামলা খারিজ, বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা গড়ছেন আম্বানি

চওড়া হাসি মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) মুখে,অন্য কেউ নয় বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা (world’s largest zoo)গড়তে চলেছেন মুকেশ অম্বানীর সংস্থা। জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত। গুজরাটের জামনগরে ‘গ্রিনস জুলজিক্যাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ (Green’s Zoological Rescue and Rehabilitation Centre) নামে দেশের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা গড়তে চলেছে রিলায়্যান্স (Reliance Industries Limited)।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে মুকেশ আম্বানি তাঁর পরবর্তী প্রজেক্টকে বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিলেন। সেই মতো গুজরাটের জামনগরে রিলায়্যান্সের তেল শোধনাগারের কিছুটা দূরে প্রায় ২৮০-একর জমির উপর বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা গড়ার জন্য সেন্ট্রাল জু অথরিটি ছাড়পত্র পান আম্বানি। কিন্তু বাধ সাধেন পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বেসরকারি শিল্পসংস্থাকে চিড়িয়াখানা গড়ার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সরব হন তাঁরা, পাশাপাশি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। শনিবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারির বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের দাবি, ‘গ্রিনস জুলজিক্যাল রেসকিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার’ (Greens Zoological Rescue and Rehabilitation Centre) একটি স্বীকৃতপ্রাপ্ত সংস্থা। মামলাকারীর নিজের এ ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান নেই বলে উল্লেখ করে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে , জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যেখানে তদারকি করছে এবং তাতে কোনও ফাঁক ফোকর ধরা পড়েনি। সে ক্ষেত্রে এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা যুক্তিহীন। প্রসঙ্গত, রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ সূত্রের খবর, জামনগরের ওই চিড়িয়াখানায় থাকবে শতাধিক প্রজাতির জীবজন্তু, পাখি এবং সরীসৃপ। প্রকল্পটি রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন মুকেশের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি। রিলায়্যান্স জানায়, মেক্সিকোর সান পেদ্রো গার্জা গার্সিয়া, নুয়েভো লিয়ঁ থেকে ১৭টি বিরল প্রজাতির ২৮৬টি প্রাণী আনা হবে, যার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রজাতির ৫০টি বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, আমেরিকান ফ্লেমিঙ্গো, ১২টি আফ্রিকান চিতা, ১০টি জাগুয়ার, মেক্সিকোর খাটো শজারু, ব্ল্যাক বেয়ার, ববক্যাট, আটটি ব্রাউন বেয়ার, মারগেজ সহ অন্যান্য প্রাণী। কিন্তু শুরু থেকেই এই চিড়িয়াখানা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংগঠনের (International Union for Conservation of Nature) নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাঘ বিপন্ন প্রাণী হিসেবেই চিহ্নিত। আফ্রিকান চিতা, জায়ান্ট অ্যান্টেএটার অসুরক্ষিত এবং জাগুয়ার বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীর তকমা পেয়েছে। সমালোচনার মধ্যেই জুনাগড়ের সাক্কারবাগ চিড়িয়াখানা থেকে দফায় দফায় মোট ৬০টি চিতা রিলায়্যান্সকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণীদের দেখভালের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘আবেদনকারী এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নন।’ তাই এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। ২০২৩ সালের মধ্যেই এই চিড়িয়াখানা তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Previous articleসোমে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleনজরে পঞ্চায়েত, সোমবার ৩ সংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক