নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত নদী কমিশনের বৈঠক

 বৈঠকে আলোচনার প্রসঙ্গে বিদেশ সচিব জানান, নদী কেন্দ্রিক একাধিক ইস্যু নিয়ে এবার সমস্যা সমাধানের পথে ভারত বাংলাদেশ। পাশাপাশি কুশিয়ারা আর গঙ্গার যে চুক্তি শেষ হবে ২০২৬ সালে, সে বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে তাই নিয়েও আলোচনা হয়।

খায়রুল আলম, ঢাকা

ভারত ও বাংলাদেশ (India- Bangladesh) একে অন্যের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। কিন্তু এই দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও এমন বহু সমস্যা আছে যার মীমাংসা এখনও হয়ে ওঠে নি। এই বিষয়ে নদী (River)ও বন্যার (Flood) প্রসঙ্গ সবার আগে উঠে আসে। এবার দুই দেশই উদ্যোগী হয়েছে এই সমস্যার সমাধানে। সেই কারণে আজ মঙ্গলবার যৌথ নদী কমিশন (Joint Rivers Commission) বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ও ভারত।  জানা যায় এই বৈঠকে ঢাকার পক্ষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নেতৃত্ব দেন। ভারতের তরফ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের (Ministry of Water Power) সচিব পঙ্কজ কুমার (Pankaj Kumar)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যৌথ নদী কমিশনের তথ্য বলছে, সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৪টি নদীর মধ্যে বেশ কিছু অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে। বিশেষ করে কুশিয়ারার পানিবণ্টন, ছয়টি অভিন্ন নদী- মনু, ধরলা, খোয়াই, গোমতী, মুহুরী ও দুধকুমার, গঙ্গা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। এই বর্ষায় নদীর জলস্তর বাড়লে বন্যার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই প্রসঙ্গেও কথা হয় এই বৈঠকে বলেই সূত্রের খবর। পানিসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৫ আগস্ট জেআরসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বসবে ঢাকা-নয়াদিল্লি। ওই বৈঠকে ঢাকার তরফে নেতৃত্ব দেবেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আর নয়াদিল্লির পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। গত ২১ অগাস্ট বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন জেআরসি বৈঠকের ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছিলেন।  বৈঠকে আলোচনার প্রসঙ্গে বিদেশ সচিব জানান, নদী কেন্দ্রিক একাধিক ইস্যু নিয়ে এবার সমস্যা সমাধানের পথে ভারত বাংলাদেশ। পাশাপাশি কুশিয়ারা আর গঙ্গার যে চুক্তি শেষ হবে ২০২৬ সালে, সে বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে তাই নিয়েও আলোচনা হয়।

Previous articleদু-চারটে আসনে হারলে ভোটে গা জোয়ারি নয়: সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে কড়া বার্তা অভিষেকের
Next articleনির্বাসন তুলে নিতে ফিফাকে চিঠি এআইএফএফ-এর