Bilkis Bano Case: বিলকিসের ধ*র্ষকদের মুক্তি কেন? এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহুয়া মৈত্র

এবার বিলকিস বানোর ধ*র্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহুয়া মৈত্র যে আবেদন করেছেন সেখানে বলা হয়েছে, ১১ অপরাধীকে মুক্তির ব্যাপারে গুজরাট সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পূর্ণাঙ্গ ভাবে খতিয়ে দেখুক আদালত।

ধ*র্ষণের মতো জঘন্য অন্যায় করার পরও কী ভাবে ধ*র্ষকরা মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন? বিলকিস বানোর (Bilkis Bano)দোষীদের মুক্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। গুজরাট সরকারের (Gujrat Government) সিদ্ধান্তকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। বুধবার জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি তালিকাভুক্ত করার আর্জি জানান হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (N V Ramana)।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩ মার্চ আহমেদাবাদের কাছে রন্ধিকপুর গ্রামে বিলকিস বানোকে (Bilkis Bano)ধ*র্ষণ করা হয়। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর। সেই সময় গোধরা কাণ্ডে উত্তপ্ত গুজরাট, হিংসায় তাঁর তিন সন্তানেরও মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। তাঁর মা ও বোনকেও ধ*র্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ধ*র্ষকদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। যার নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা দেশ। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে এহেন ঘটনায় আঙুল উঠছে বিজেপি সরকারের দিকে। গণধ*র্ষণের মামলায় (Bilkis Bano Case) আজীবন কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন অভিযুক্তকে গুজরাট সরকারের (Gujarat Government) মুক্তি দেওয়াকে দেশের কলঙ্ক জনক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিলকিস বানো। শুধু তাই নয় অসহায় বিলকিস শীর্ষ আদালতের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আমি ক্ষতিগ্রস্ত, বঞ্চিত। আমার ক্ষতি পূরণ হয়নি। এদের মুক্তি পেতে দেখে আমার হাত-পা অসাড় হয়ে গিয়েছে। মুখে শব্দ আসছে না। তাই শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি যে আমাকে বিনা ভয়ে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দাও।” এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) ও নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। বিলকিস বানোর ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে মিমি লেখেন “গণধ*র্ষণে দোষী সাব্যস্ত ওই ১১ জনকে ঠিক কী কারণে মুক্তি দেওয়া হল? তা হলে ১৫ অগস্টের (প্রধানমন্ত্রীর) ভাষণের সারবত্তাই বা কী? আপনি তো মহিলাদের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছিলেন। নারীশক্তির কথা বলেছিলেন। আমি একজন মহিলা হিসেবেই এ কথা বলছি। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও আমার মন ভেঙে গেছে।” একইসঙ্গে নুসরত বলেন, “কবে এমন অন্যায় শেষ হবে তার অপেক্ষায় আমি। তিনিও অপেক্ষায়। বিলকিস বানো। সত্য ও ন্যায়ের প্রতিভূ বিচারব্যবস্থা। আর এখানে সত্যিটা হল ১১ জন গণধ*র্ষণ ও খুনের অপরাধীর মুক্তির পরে মিষ্টি বিলোনো হচ্ছে।” এবার বিলকিস বানোর ধ*র্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহুয়া মৈত্র যে আবেদন করেছেন সেখানে বলা হয়েছে, ১১ অপরাধীকে মুক্তির ব্যাপারে গুজরাট সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা পূর্ণাঙ্গ ভাবে খতিয়ে দেখুক আদালত। অপরাধীকে ক্ষমা করতে রাজ্যের হাতে যে ক্ষমতা রয়েছে, তার যেন অপপ্রয়োগ না হয়। পাশাপাশি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। তিনি বলেন, যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। সিবিআই এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম অপরাধ বলে মনে করার পরেও গুজরাট সরকার ১১ জনকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কোনও আলোচনাই করল না। মঙ্গলবার সকালেই দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার কাছে এই মামলাটি উত্থাপন করেছেন আইনজীবী অপর্ণা ভাট।

 

 

Previous articleতরুণ সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleঅনুব্রতর সম্পত্তির হদিস পেতে রেজিস্ট্রি অফিসে সিবিআই