তরুণ সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

ক্যানসার কেড়ে নিল তরুণ তুর্কি সাংবাদিকের প্রাণ। মাত্র ৩৫ বছরেই থেমে গেল সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের লড়াই।তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা সংবাদজগৎ। বেদনাদায়ক এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তরুণ সাংবাদিকের পরিবার ও আত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

আরও পড়ুন:আগামী ২৫ ও ২৬-এ অগাস্ট রাজপথে মহিলা তৃণমূল

এদিন মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, “অত্যন্ত বেদনাদায়ক খবর। স্বর্ণেন্দু দাস, কলকাতার একজন তরুণ সাংবাদিকের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। সংবাদ দুনিয়া একজন অত্যন্ত দক্ষ প্রতিভা হারাল। তাঁর পরিবার, প্রিয়জন এবং সহকর্মীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।”

তরুণ সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের অকাল প্রয়াণে আমি শোকস্তব্ধ। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। তাঁর পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-শুভানুধ্যায়ীদের জানাই গভীর সমবেদনা।”

প্রসঙ্গত, হুগলির সিঙ্গুরের গ্রামের বাসিন্দা এই সাংবাদিকের শরীরে দানা বাঁধে ক্যানসারের মত মারণ রোগ।কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি তিনি। ক্যানসারকে সঙ্গী করেই বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাপিয়ে কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি। তবে গতও বছর নভেম্বর মাস থেকে শারীরিক অবনতি হতে শুরু করে স্বর্ণেন্দুর। মুম্বইয়ে টাটা ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছিল তখন। কিন্তু বিপুল চিকিৎসার খরচ জোগাতে অপারগ হয়ে পড়ে তাঁর পরিবার। বিষয়টি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্বর্ণেন্দুর চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেওয়ার কথা জানান। এরপর কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয় স্বর্ণেন্দুর।

সম্প্রতি স্বর্ণেন্দুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। মঙ্গলবার সকালে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।

Previous articleবকেয়া DA: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হাই কোর্টে
Next articleBilkis Bano Case: বিলকিসের ধ*র্ষকদের মুক্তি কেন? এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহুয়া মৈত্র