করোনা, ডেঙ্গু, টম্যাটো ফ্লু , হ্যান্ড-ফুট-মাউথ মধ্যেই দোসর স্ক্রাব টাইফাসের! ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরে হানা দিয়েছে এই রোগ। আক্রান্ত হয়ে কোলাঘাটের নার্সিং হোমে ভর্তি রয়েছে ২০ জন শিশু। বেসরকারি হাসপাতালেও ধূম জ্বর-খিঁচুনি নিয়ে ভর্তি শিশুরা।ঘটনায় শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে ।
আরও পড়ুন:চিকিৎসাবিজ্ঞানে বড় সাফল্য! আবিষ্কার হল ক্যানসার নিরাময়ের ওষুধ

কী এই স্ক্রাব টাইফাস? বর্ষার মরসুমে বিভিন্নরকম পোকা বেরোয়। একধরণের পোকা কামড়ালেই এই জ্বর আসে। তবে তা থেকে শিশুদের মধ্যে প্রথমে বমি ,পেট খারাপের মত লক্ষণ দেখা যায়।পরে আসে ধূম জ্বর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্ক্রাব টাইফাস হল একধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এই ব্যাকটেরিয়া এক ধরনের উকুন থেকে ছড়ায় এর নাম ‘ট্রম্বিকিউলি়ড মাইটস’। এই পোকাগুলির আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। কেউ সংক্রমিত হলে ধূম জ্বর, বমি, পেট খারাপের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গি এবং স্ক্রাব টাইফাসের রোগের লক্ষণ অনেকটা একই। চিকিৎসকেরা বলছেন, পোকা কামড়ানোর পাঁচ-সাত দিন পরে জ্বর আসে। প্রথমে কামড়ের দাগ, র্যাশ, লালচে ফোলা ভাব, ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো লাল দাগ,এরপরে আসে জ্বর। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে সব অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে থাকে। জ্বরের ধরন ও পোকা কাটা স্থানের ক্ষত দেখে রোগীদের চিহ্নিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছর উত্তরবঙ্গে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ বেড়েছিল। জলপাইগুড়িতে পোকায় কাটা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল বহু মানুষ। এবার বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে স্ক্রাবের সংক্রমণ বেড়েছে।
