চিকিৎসাবিজ্ঞানে বড় সাফল্য! আবিষ্কার হল ক্যানসার নিরাময়ের ওষুধ

দেরিতে হলেও শেষমেশ এল সাফল্য! অসম্ভবকে সম্ভব করে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করে দেখাল চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। তৈরি হল মারণরোগের ওষুধ। যার ফলে ক্যানসারের গবেষণা আরও এক ধাপ এগোল।

আরও পড়ুন:বিদ্যুৎ খরচ কমাতে হাসিনা সরকারের উদ্যোগ, সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টে

ক্যানসার এমন এক মারণরোগ যে রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল তো বটেই, পাশাপাশি এই রোগ রোগীদের মনোবলও ভেঙে দেয়। তাই নিত্য নতুন পদ্ধতিতে ক্যানসার নিরাময়ের প্রচেষ্টা বহুদিন ধরেই চলছিল। আর সেই সন্ধানের পথ ধরেই ঘটল যুগান্তকারী আবিষ্কার। এই সাফল্য এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।

ক্যানসারের চিকিৎসায় প্রতিরোধী শক্তি ব্যবহার করাকে ‘ইমিউনোথেরাপি’ বলা হয়। এবার ইমিউনোথেরাপি এবং পরীক্ষামূলক ওষুধ গুয়াডেসাইটাবিনের সমন্বয়ে নতুন এক চিকিৎসা- পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইমিউনোথেরাপিতে ব্যবহৃত ওষুধ পেমব্রোলিজুমাব এবং ডিএনএ হাইমিথাইলেটিং এজেন্ট গুয়াডেসাইটাবিনের মিশ্রণ পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন ক্যানসার রোগীকে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি রোগীর শরীরে ক্যানসারের বিস্তার থামিয়ে দেওয়া গেছে বলে দেখা গিয়েছে। ‘ইমিউনোথেরাপি অব ক্যানসার’ নামক পত্রিকায় নতুন এ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।

ক্যানসারের চিকিৎসায় প্রতিরোধী শক্তি ব্যবহার করাকে ‘ইমিউনোথেরাপি’ বলা হয়। সার্জারি, রেডিওথেরাপি কিংবা কেমোথেরাপির মতো পদ্ধতিগুলি ব্যর্থ হলে ইমিউনোথেরাপি ব্যবহার করে রোগীর জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। এই পদ্ধতিতে রোগীর রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ব্যবহার করে ক্যানসারের কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তবে ইমিউনোথেরাপিও অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কাজ করে না। এ পদ্ধতি ব্যবহারের পরেও মাঝেমধ্যে টিউমার বড় হয়ে যেতে পারে অনেকের। এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা এই নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কারের দাবি করেছেন। তাঁদের আশা, বর্তমান পদ্ধতিতে যাঁদের আর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়, বিকল্প না পেয়ে যাঁরা মৃত্যুর প্রহর গুনছেন, তাঁদের আরও বেশি দিন বাঁচার সুযোগ করে দেবে এই চিকিৎসাপদ্ধতি।

Previous articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleহেস্টিংসে দলের সাংগঠনিক বৈঠক এড়ালেন দিলীপ ঘোষ, জল্পনা তুঙ্গে