ইউনেস্কো (UNESCO) সম্মানিত করেছে বাংলার দুর্গাপুজোকে। তাই করোনা (Corona) কাটিয়ে এবছরের দুর্গা পুজো একটু অন্যরকম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) পুজো বৈঠক করে রাজ্যের বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য একাধিক সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন। এবার দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক সারলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। বুধবার ডিভিশনাল ফায়ার অফিসারদের (Divisional fire Officials) নিয়ে লম্বা বৈঠক করেন মন্ত্রী। করোনা পরবর্তী কালে পুজো সামলাতে প্রস্তুত দমকল বিভাগ (fire department)। এসিএস (ACS)মনোজ আগরওয়াল, ডিজি (DG) রণবীর কুমার সহ এডিজি, ডিরেক্টর জেনারেল , প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে এদিন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন দমকল মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট, ফায়ার লাইসেন্সের দিকে নজর দেওয়া দরকার। পাশাপাশি ডিভিশনাল ফায়ার অফিসারদের পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পুজোতে কোনরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেইদিকে নজর দেওয়ার কথাও বলা হয় আজকের বৈঠকে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান,
- মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো পুজোতে দমকল কোনও চার্জ নেবে না ।
- অনলাইনে আবেদন করা যাবে ।
- ফায়ার সার্ভিস থেকে পুজোর সময় বেশ কিছু সতর্কতামূলক অনুষ্ঠান করা হবে।
- ফায়ার অডিট নিয়েও খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে ।
- বড় প্যান্ডেলে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখতে হবে ।
- প্যান্ডেলের ভিতরে ইলেকট্রিক সংযোগ যাতে সঠিক ভাবে হয়, সেইদিকে নজর দেবে দমকল বিভাগ।
- পুজো প্যান্ডেলে গিয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন দমকল কর্মীরা ।
- বেশ কিছু বড় পুজো প্যান্ডেলে আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ভিজিট করবেন খোদ দমকল মন্ত্রী।
- রাজ্যে ১৫৪ টা ফায়ার স্টেশনের বাইরেও ১৯ টি অতিরিক্ত টেম্পোরারি ফায়ার স্টেশন হবে ।
- গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে কলকাতায় মোট ২৭৬০টি পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। এবছর সংখ্যা আরও বেড়েছে ।
- প্রতি বৃহস্পতিবার মিটিং করা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষকে আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া যায় ।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সমান ভাবে কাজ করে চলেছে দমকল বিভাগের কর্মীরা ।
সবশেষে দমকল মন্ত্রী জানান মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতে এবং দমকল বিভাগের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে বদ্ধপরিকর দমকল বিভাগের কর্মীরা। সেইমতোই পুজোতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সজাগ দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে।