বিলকিসের ধর্ষকরা বাড়ি ফিরতেই ডিজে বাজিয়ে স্বাগত! ভয়ে ঘরছাড়া বহু গ্রামবাসী

বিলকিস বানোর ১১ ধর্ষকদের জেল থেকে সদ্য মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই ভয়ে ত্রস্ত গোটা এলাকা। এমনকি নৃশংস ধর্ষকদের জেলে ফেরা না পর্যন্ত বাড়িতে থাকার সাহস পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকেই ঘড় ছাড়ছেন। গুজরাটের রাধিকাপুরের গ্রামে বসবাসকারী মানুষদের এমনটাই অভিযোগ।  এমনকি গুজরাটের বিজেপি সরকারের কাছে অভিযুক্ত ওই ধর্ষকদের জেলে ঢোকানোর আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:দুধ, চিনি, ময়দার পর ফের দাম বাড়ছে পাউরুটি, বিস্কুট, কেকের

রাধিকাপুরের মুসলিম বাসিন্দারা এখন রয়েছেন দেবগড় বারিয়া নামের অন্য একটি গ্রামে। বিলকিস বানো ও তাঁর পরিবারও সেখানেই রয়েছেন। গ্রামছাড়া সমীর ঘাচি জানাচ্ছেন, ”আমরা তো কিছুই জানতাম না। কিন্তু ওই ১১ জন গ্রামে ফিরলে তাদের রীতিমতো আতশবাজি ফাটিয়ে, ডিজে বাজিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আর তখন থেকেই আমরা ভীত হয়ে পড়েছি। খুনি, ধর্ষকদের জন্য কেউ কেন বাজি ফাটিয়ে ডিজে বাজাবে! এরপরই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আর এই গ্রামে নয়।”ঘরছাড়াদের বক্তব্য আমাদের রুটিরুজির উপর এর প্রভাব পড়ছে। কিন্তু আমরা অসহায়।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে গুজরাট সরকার অভিযুক্ত ১১ ধর্ষককে মুক্তি করে।  যাঁরা ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করেছিল। তাঁর তিন বছরের মেয়েকে আছড়ে মেরেছিল মায়ের চোখের সামনে। ‘খুন’ হয়েছিলেন বিলকিসের পরিবারের মোট ৮ জন। ২০০৮ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সেই ১১ জনকে মুক্তির দাবি করে আর্জি জানায় এক অপরাধী। এরপরই তাদের মুক্ত করা হয়। আর এই ঘটনা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম নেত্রী সুভাষিণী আলি প্রমুখ।

Previous articleসব ক্ষমতা খর্ব করে দিলীপকে দল থেকে ছাঁটতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী
Next articleরাজ্যজুড়ে মেগা কার্নিভালের মধ্যেই মোদির উদ্বোধন করা বঙ্গ বিজেপির দুর্গাপুজো নিয়ে সংশয়