সব ক্ষমতা খর্ব করে দিলীপকে দল থেকে ছাঁটতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষ যাতে কোনওভাবে টিকিট না পান, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তেমনই আবদার জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপির একাংশের নেতারা

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দলের মধ্যে আরও কোণঠাসা করতে মরিয়া সুকান্ত-শুভেন্দু সহ ক্ষমতাসীন লবির একটি বড় অংশের নেতারা। নামে সর্বভারতীয় বিজেপির সহ-সভাপতি হলেও দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক কর্মকান্ড বাংলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাংলার বুক থেকেই তাঁর রাজনৈতিক উত্থান, পরিচিতি, জনপ্রিয়তা। কিন্তু সেই বাংলাতেই কাজের পরিসর পাচ্ছেন না দিলীপ ঘোষ। কাজে বাধা দিচ্ছে তাঁর দলেরই বিরোধী শিবিরের নেতারা।

আরও পড়ুন: পুরুলিয়া সূচ কাণ্ডে ‘ফাঁসি’ রদ, অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের

শুধু তাই নয়, সাংসদ হিসেবে যেটুকু কাজের সুযোগ দিলীপবাবু পাচ্ছেন সেটাও খর্ব করতে মরিয়া সুকান্ত-শুভেন্দু গোষ্ঠী। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষ যাতে কোনওভাবে টিকিট না পান, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তেমনই আবদার জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপির একাংশের নেতারা।

এখানেই শেষ নয়, দিলীপ ঘোষকে সংবাদমাধ্যমের কাছে সেন্সর করা থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদটিও কেড়ে নেওয়ার জন্য দিল্লিতে দরবার শুরু করেছে
বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ বিরোধী নেতারা। নাড্ডা-বিএল সন্তোষদের কাছে প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে আর্জি করছেন ওই সকল নেতারা।

শুধু নব্য বা দলবদলু নেতারা নয়, সঙ্ঘের একটি অংশ দিলীপ ঘোষকে রাজনীতির ময়দানে ধনেপ্রাণে মারতে চাইছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আগেও চক্রান্ত হয়েছে। এখনও হতে পারে। তাতে আমার কী ক্ষতি হয়েছে জানি না! তবে দল এবং সংগঠন মার খেয়েছে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। সেই সময় বহু নেতা দিল্লিতে গিয়ে দিলীপ হটাও দাবি তুলেছিলেন। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই আমার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। যার ফল হাতে নাতে মিলেছে। কিন্তু দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা আমার সঙ্গে আছেন। আমি সবসময় কর্মী-সমর্থকদের জন্য ছিলাম, আছি এবং থাকব।” তবে দিলীপ ঘোষ এটাও জানিয়েছেন, সঙ্ঘ যদি তাঁর পাশে না থাকে বা তারা যদি মনে করে তাঁকে দিয়ে আর হচ্ছে না, তাহলে তাঁকেও বিকল্পভাবনা ভাবতে হবে।

Previous articleদুধ, চিনি, ময়দার পর ফের দাম বাড়ছে পাউরুটি, বিস্কুট, কেকের
Next articleবিলকিসের ধর্ষকরা বাড়ি ফিরতেই ডিজে বাজিয়ে স্বাগত! ভয়ে ঘরছাড়া বহু গ্রামবাসী