অসুস্থ পার্থ-অনুব্রতকে জেলে চিকিৎসার জন্য হাকিম সাহেবের দরকার, ববিকে কটাক্ষ সুকান্তর

সুকান্ত মজুমদারের এমন পোস্ট থেকে পরিষ্কার তিনি হাকিম সাহেব বলতে ফিরহাদ হাকিমকেই ইঙ্গিত করেছেন। এবং পার্থ, অনুব্রতর ফিরহাদ হাকিমের জেলযাত্রা একপ্রকার নিশ্চিত বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির

ফের নাম না করে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) জেলে ভরার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta majumdar) । আজ, শনিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লম্বা-চওড়া পোস্ট করেন সুকান্ত। সেখানে তিনি ফিরহাদ তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের বিভিন্ন সময়ে করা বিভিন্ন মন্তব্য তুলে ধরেছেন।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি পোস্টের শুরুতেই লিখছেন, “পার্থবাবু, অনুব্রতবাবু জেলে যাওয়ার পর থেকে ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য একজন হাকিম সাহেবের দরকার। হাকিম সাহেব জেলে অনুব্রত এবং পার্থবাবুকে না দেখলে তাঁরা সুস্থ হবেন কী করে? আমার এই বক্তব্যের জন্য রাজ্যের একজন অন্যতম মন্ত্রী রাগান্বিত হয়ে অনেক কথা বললেন। অনেকটা ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি-র মতো শুনতে লাগলো পুরো বিষয়টা। ওনার কথাগুলো শুনে অনেক পুরনো এবং নতুন কিছু কথা মনে আসছে।” সুকান্ত মজুমদারের এমন পোস্ট থেকে পরিষ্কার তিনি হাকিম সাহেব বলতে ফিরহাদ হাকিমকেই ইঙ্গিত করেছেন। এবং পার্থ, অনুব্রতর ফিরহাদ হাকিমের জেলযাত্রা একপ্রকার নিশ্চিত বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির।


প্রসঙ্গত, এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার ফিরহাদ হাকিমের পালা। গত, বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এভাবেই আক্রমণ করেছিলেন। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদকে গ্রেফতার করা হবে এরপর। গতকাল, শুক্রবার তারই পাল্টা দেন ফিরহাদ। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্য, জেলে যেতে ভয় পান না তিনি। এ ভাবে সম্মানহানি করা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেন কলকাতার মেয়র।

বৃহস্পতিবার বহরমপুরে ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ শীর্ষক একটি সাংগঠনিক সভা ছিল বিজেপির। ওই সভাতেই সুকান্ত বলেন, ‘‘তৃণমূলে অনেক চোর। তালিকা লম্বা। কেউ ছাড় পাবে না। পার্থ গিয়েছে, কেষ্ট গিয়েছে, এবার ববি যাবে!’’

আবার ঠিক তার পরদিন শুক্রবার বিধানসভায় এসেছিলেন ফিরহাদ। সেখানে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কী এমন অন্যায় করলাম, যে আত্মসম্মান নষ্ট করে ফেলতে হবে? আত্মসম্মান কি রাজনীতিকদের থাকা উচিত নয়? সব সময় একটা হেনস্থা। কিছু নেটমাধ্যম রয়েছে, কিছু সংবাদমাধ্যম রয়েছে, তারা এ সব করে।’’ তিনি তৃণমূল করেন বলেই হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন মন্তব্যও করেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, ‘‘ববি হাকিম তৃণমূল করে মানেই ও অশালীন! সুকান্তবাবুর দলে চলে গেলেই সে সাধু! এখানে থাকলে অসাধু, সেখানে গেলেই সাধু!’’ ফিরহাদ জানিয়েছেন, যত হুঁশিয়ারিই আসুক, তিনি ভয় পাবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবেন।

আবার ফিরহাদের বক্তব্যের পাল্টা নিয়ে শুক্রবারই সুকান্ত বলেন, ‘‘যদি অন্যায় করে থাকেন, তবে তো জেলে যেতেই হবে। অন্যায় করার আগে সম্মান নিয়ে ভাবা উচিত। যদি অন্যায় না করে থাকেন, তা হলে এত চিন্তার কী আছে।”

Previous articleচোট থেকে ফিরেই সোনা জয় নীরাজের
Next articleউদ্বোধনের আগে আলোকোজ্জ্বল অটল সেতুর ছবি টুইট প্রধানমন্ত্রীর