এশিয়া কাপে ভারত-পাক মহারণ, টি-২০ বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া রাহুলরা

রোহিত আগেই জানিয়েছেন, লোকে যতই এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজিত হোক, তাঁরা আর একটা ম্যাচের মতোই ভাবছেন।

এখনও কাঁটার মতো বিঁধছে দশ উইকেটে হার। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World Cup)  ঘটনা। আর সেটা দুবাইয়ের এই মাঠেই! সময়ের তালে অনেক ম্যাচ চলে গিয়েছে। কিন্তু বাইশ গজে ভারত-পাকিস্তান আর কোথাও মুখোমুখি হয়নি। সুতরাং দুবাই-জুড়ে মহারণের উত্তাপ তৈরি হয়েছে। টিকিটের হাহাকারও। এশিয়া কাপের সবথেকে দামি ম্যাচটাই যে হতে চলেছে রবিবার  দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। রোহিতদের জন্য স্বস্তি এটাই যে এশিয়া কাপে শাহিন আফ্রিদি নেই। সেদিন যাঁর হাতে উড়ে গিয়েছিল ভারতের টপ অর্ডার। আফ্রিদি দলের সঙ্গে আছেন। কিন্তু সেটা রিহ্যাবের জন্য। এই টুর্নামেন্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। এটা ভারতের জন্য খুব ভাল খবর। কিন্তু পাক কোচ সাকলিন মুস্তাক তারপরও হুঙ্কার ছেড়ে রেখেছেন, তাঁর দলের নব্য পেস ব্রিগেডও কম যায় না। ভারতকে রউফরাও টেক্কা দেবেন।

রোহিত আগেই জানিয়েছেন, লোকে যতই এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজিত হোক, তাঁরা আর একটা ম্যাচের মতোই ভাবছেন। এমনকী রোহিত তাঁর দলের নতুন ছেলেদেরও এটাই বুঝিয়েছেন যে, চাপ নেওয়ার দরকার নেই। এটা আর একটা ম্যাচের মতোই। কিন্তু দশ উইকেটের হার পিছন থেকে তাড়া করছেই। সহ অধিনায়ক কে এল রাহুল যেমন বলে দিয়েছেন, রবিবার তাঁদের কাছে বদলার ম্যাচ। মানে হারের বদলা।

টুর্নামেন্টের আসল ম্যাচটাই শুরুতে খেলে নিচ্ছেন রোহিত-বাবররা। এই ম্যাচের টিকিট দেওয়া মাত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। একে তো ভারত-পাক ম্যাচ, তার উপর আবার এটা বিরাট কোহলির ‘কামব্যাক’ ম্যাচও। বিরাট লম্বা ছুটি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন। আর ফিরে এসে নেটে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছেন। আগেরদিন যুজবেন্দ্র চ‍্যাহালকে রিভার্স ব্যাটে ছক্কা মেরেছেন। চ‍্যাহাল তো বটেই, পাক স্পিনাররাও কেউ এই ছবি দেখে থাকলে চিন্তায় পড়তে বাধ্য। বিরাটকে দেখে মনে হচ্ছে, দ্য কিং ইজ ব্যাক!

কিং কোহলি অনেকদিন রানে নেই। তিনি নিজে জানিয়েছেন, গত দশ বছরে এই প্রথম এক মাস হাতে ব্যাট তোলেননি। বিরাট জানেন রবিবার তিনি যখন বাইশ গজে নামবেন, ক্রিকেট দুনিয়া হাঁ করে তাকিয়ে থাকবে। এশিয়া কাপে তাঁর জন্য অ্যাসিড টেস্ট। এবারই বিরাটের তিন ফরম্যাটে একশো করে ম্যাচ খেলা হয়ে যাবে। যেমন বাবরের এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের সেরা অধিনায়ক হওয়াও এখন সময়ের অপেক্ষা।

ইউনিস খানের মতো কয়েকজন এই ম্যাচে সামান্য হলেও রোহিতদের এগিয়ে রাখছেন। রোহিত নিজে তিন ফরম্যাটেই ভারতের অধিনায়ক হয়েছেন। টি-২০-তে ভারতের সাম্প্রতিক রেকর্ডও বেশ ভাল। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তান ২০২১-এ মাত্র তিনটি টি-২০ সিরিজ খেলেছে। আর যদি র‍্যাঙ্কিংয়ের প্রশ্ন ওঠে, রোহিতরা আছেন এক নম্বরে। পাকিস্তান তিনে। পাকিস্তানে যেমন আফ্রিদি নেই, তেমনই ভারতীয় দলেও যশপ্রীত বুমরাহ নেই। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও কোভিড হওয়ায় দলের সঙ্গে নেই। সেই দায়িত্বে ভিভিএস লক্ষ্মণ। যিনি দল নিয়ে জিম্বাবোয়ে গিয়েছিলেন। এদিকে, বুমরাহ না থাকলেও হার্দিক পান্ডিয়ার অন্তর্ভুক্তি রোহিতের দলের শক্তি বাড়িয়েছে। হার্দিক চোটের জন্য গত টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেননি। পাকিস্তানের কাছে হারের সেটাও একটা কারণ ছিল বলে মনে করছেন রবি শাস্ত্রী-সহ অনেকেই। রবিবারের ম্যাচে রোহিতের তুরুপের তাস হতে পারেন বরোদা অলরাউন্ডার।

আরও পড়ুন:জয়ের হ‍্যাটট্রিক মহামেডানের, ২-০ গোলে হারাল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সকে

 

Previous articleপর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন, রাজস্ব বাড়বে সরকারের
Next articleইস্ট-মোহন ভারত-পাক, উৎপল সিনহার কলম