শুভেন্দুর শহরে সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনেও জয়জয়কার তৃণমূলের

বিরোধী বিজেপি শিবিরের কোনও প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অনেকেই লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন। তাই এই নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই কাঁথি শহরে ছিল টানটান উত্তেজনা।

কাঁথির বলাগেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে প্রার্থীই দিতে পারেনি পদ্ম শিবির। এখানেও জয়জয়কার তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরের।বিরোধী দলনেতার শহরের এই ব্যাঙ্কে ৯টি ডিরেক্টর পদের নির্বাচন ছিল। আগেই দুটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন এগরার বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণকুমার মাইতি ও রামনগর থেকে চন্দন নন্দ। রবিবার ছিল বাকি ৭ আসনের নির্বাচন। বিরোধী বিজেপি শিবিরের কোনও প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অনেকেই লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন। তাই এই নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই কাঁথি শহরে ছিল টানটান উত্তেজনা।

শেষ পর্যন্ত ডিরেক্টর নির্বাচিত হন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, চন্দন নন্দ, উত্তম দাস, দিলীপ জানা, পার্থসারথি দাস, বিকাশচন্দ্র বেজ, তরুণকুমার মাইতি, স্বপনকুমার পড়য়্যা ও সত্যজিৎ ধাড়া। নির্বাচিত প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান মন্ত্রী অখিল গিরি। সদ্যনির্বাচিত ডিরেক্টর সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘রামনগর আসন থেকে আমি প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলাম। এটি একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, এখানে দলীয় কোনও মত চলতে পারে না। তবুও মানুষ আমাদের দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। কোনও এক নেতা রামনগরের মানুষকে টাকার মদত জুগিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করে রামনগরের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন টাকা দিয়ে এখানকার মানুষকে কেনা যায় না।’

Previous articleসভাপতি নির্বাচনের পথেই হাঁটছে কংগ্রেস
Next articleমোদি সরকারের কাজের গুণগত মান উন্নয়ন নিয়ে অসন্তুষ্ট, পথ বাতলালেন গড়কড়ি