জেলে বসেই ভুরিভোজ ! খাসির মাংস দিয়ে জমিয়ে খেলেন অনুব্রত

প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় খাসির মাংস খাওয়া যে কেষ্টর অভ্যাস ! তাই জেলে বসেও ওইদিন তিনি খাসির মাংস খাওয়ার আবদার করেন। কিন্তু জেল তো! ইচ্ছেমতো আবদার অনুযায়ী খাবার পাওয়া সম্ভব নয়।

নিন্দুকেরা বলেন, সে রামও নেই সেই রামরাজত্বও নেই।কিন্তু ভাগ্যে থাকলে যে অনেক কিছুই হয়।একসময় বীরভূমের বেতাজ বাদশা ছিলেন অনুব্রত মন্ডল। প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে ঘটা করে পুজো দিতেন। গোটা এলাকা হোর্ডিং পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ থাকত।কিন্তু এবারে সেদৃশ্য চোখে পড়ে নি। গত দশ বছরের ছবি রাতারাতি উধাও।অথচ অভ্যাস বদলানো অত সহজ নয়। প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় খাসির মাংস খাওয়া যে কেষ্টর অভ্যাস ! তাই জেলে বসেও ওইদিন তিনি খাসির মাংস খাওয়ার আবদার করেন। কিন্তু জেল তো! ইচ্ছেমতো আবদার অনুযায়ী খাবার পাওয়া সম্ভব নয়।

যদিও পরের দিন ছিল রবিবার। জেলের নিয়ম অনুযায়ী সেদিন দেওয়া হয়েছিল খাসির মাংস।  ঘুরপথে হলেও শেষমেশ ইচ্ছাপূরণ হয় অনুব্রতর। তিনি খাসির মাংস দিয়ে পেটভরে খেয়েছেন। আসানসোল সংশোধনাগারে দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের আবদার না মানা হলেও শেষপর্যন্ত মনের ইচ্ছাপূরণ হয়। আসলে প্রত্যেক রবিবার আসানসোল জেলের সব বন্দিদেরই খাসির মাংস দেওয়া হয়।ওইদিনও নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম হয়নি।মোট ৫২৪ জন জেলবন্দির জন্য আনা হয়েছিল প্রায় ৪৪ কেজি মাংস। তিনি নাকি এদিন ভালোই খেয়েছেন।একেবারে কব্জি ডুবিয়ে সেই মাংসের ঝোল এবং ভাতই খেয়েছেন অনুব্রত, সঙ্গে ছিল তরকারিও।

আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে আজ ফের আদালতে পেশ

কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amabashya) উপলক্ষে আসানসোল সংশোধনাগারে কালীপুজো দেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC)সভাপতি। সকালে স্নানের পর তিনি পোশাক বদল করেন। এরপর সংশোধনাগারের মন্দিরে কালীপুজো দিতে চান বলে জানান অনুব্রত। সংশোধনাগার চত্বরেই হনুমান মন্দিরের পাশে রয়েছে মা কালীর ছবি। ওইদিন সেখানে গিয়েই লাল জবার মালা, নকুলদানা, ধূপ দিয়ে পুজো দেন।

 

Previous articleপ্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, শোকের ছায়া টলিপাড়ায়
Next articleঅমিত-পুত্র জয় শাহকে ‘উড়নচণ্ডী রাজপুত্র’ বলে কটাক্ষ অভিষেকের