নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে আজ ফের আদালতে পেশ

দু’দিনের জেলা হেফাজত শেষ। আজ, সোমবার ফের আদালতে পেশ করা হবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়কে। নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যানের কাজ করত প্রসন্ন বলে দাবি সিবিআই-এর। প্রসন্নকে জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আজ বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে নিজাম প্যালেস থেকে বের করা হবে। এরপর আদালতে পেশ করা হবে।আজ তাকে ফের সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতিতে কী ভূমিকা ছিল প্রসন্নর? উত্তর খুঁজছে সিবিআই

সিবিআই সূত্রের খবর,  প্রসন্ন রায়ের একাধিক ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে। এছাড়াও রয়েছে বহু সম্পত্তি। দু’দিনের জেরায় সিবিআই প্রসন্নের আয়ের উৎস জানতে চায়। এছাড়াও কীভাবে এত টাকা তার কাছে এল?  কার নির্দেশে নিয়োগ হত? কত টাকায় চাকরীপ্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হত? এই বিশাল কর্মকাণ্ড কাঁর নির্দেশে চলতো? -এইসকল একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে। তবে এখনও সব উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই তাকে ফের সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

সিবিআই-এর দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিল প্রসন্ন। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক মিডলম্যান প্রদীপ সিংকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার মাধ্যমেই প্রসন্নের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। একটি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থা ছিল প্রসন্নর। গোয়েন্দাদের অনুমান, রাত ১০টার পর গাড়ি করে টাকা যেত প্রসন্নর সল্টলেকের জিডি ব্লকের অফিসে। আড়াল থেকেই টাকার লেনদেন চলত। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই অফিসে কালো এসইউভি গাড়ি রাখা থাকত। তা ব্যবহার করেই টাকা আনা হত। প্রসন্নের অফিসের গাড়ি শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে যাওয়ার তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। প্রসন্নের থেকে গাড়ি চেয়ে পাঠাতেন শান্তিপ্রসাদও। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা, কীভাবে সাদা করা যায়, সেই কাজই চালাত প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিং।

সিবিআই সূত্রে খবর, রিয়েল এস্টেট সহ প্রসন্ন রায়ের একাধিক ব্যবসায় এসএসসি দুর্নীতির টাকা খাটানো হত। অভিযোগ, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হওয়ায় একপ্রকার প্রভাব খাটিয়ে সল্টলেকের জিডি ব্লকের অফিস দখল করে রেখেছিল প্রসন্ন রায়। প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংয়ের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, প্রসন্নের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করত প্রদীপ সিং। সূত্রের খবর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনর ডিল হত এই অফিস থেকে। তাদের কাছে এমন চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও থাকত বলে সূত্রের খবর।

Previous articleব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার পরিচারিকার নিথর দেহ, চাঞ্চল্য এলাকায়
Next articleপ্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, শোকের ছায়া টলিপাড়ায়