নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ, জেল হেফাজতের সময়সীমা বাড়ল নোবেল জয়ী নেত্রীর

খারাপ সময় কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না নোবেল জয়ী নেত্রীর আং সান সুকি-র।তার বিরুদ্ধে এবার নির্বাচনে বড়সড় দুর্নীতির (Election Corruption) অভিযোগ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড (Jail Cutody) দেওয়া হল আং সান সুকিকে (Aung San Suu Kyi)। মায়ানমারের একটি আদালত শুক্রবার এই রায় দিয়েছে। এর আগে গত অগাস্ট মাসে চারটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন নোবেলজয়ী নেত্রী (Nobel Laureate Leader)। সেইসময় তাঁকে ৬ বছরের সাজা শোনানো হয়। তারও আগে এপ্রিল মাসে এগারোটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সু কি।

অভিযোগ,২০২০ সালে জালিয়াতি করে মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সু কি-র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি দল (National League For Democracy)। মায়ানমার সংসদের (Mayanmar Assembly) নিম্নকক্ষের ৪২৫ আসনের মধ্যে ৩৪৬ আসনে জয় পায় তাঁরা। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যু (Rohinga) সহ একাধিক বিষয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের। ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে দেশের গোটা পরিস্থিতি। গতবছরের মে মাসে প্রথমবার সু কি-কে আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকেই দেশবাসীর উদ্দেশে আইনজীবী মারফত বার্তা দেন তিনি।
২০২১ সালে আচমকাই সেনাবাহিনী মায়ানমার নিজেদের দখলে নেয়। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। আর সেই সময় থেকেই সেনার নির্দেশে বন্দি মায়ানমারের নেত্রী সান সু কি। আর্থিক দুর্নীতি (Financial Corruption), ভোটে কারচুপি (Voting Ragging), ভোটপ্রচারে করোনাবিধি ভাঙা সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয় নোবেল জয়ী নেত্রীর বিরুদ্ধে।

এরপর একাধিকবার উদ্বেগপ্রকাশ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সু কি কে মুক্তি দেওয়ার দাবি ভারত সহ একাধিক দেশ জানালেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। মায়ানমার জুড়ে শুরু হয় সেনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ প্রদর্শন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মায়ানমার। তবুও মুক্তি মেলেনি সু কি-র।

Previous articleAsia Cup 2022 : ম্যাচ জিতে নাগিন ডান্স! ভাইরাল শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার
Next articleঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক টানাপোড়েন: দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল, ছত্তিশগড়ে শাসকদলের বিধায়করা