ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক টানাপোড়েন: দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল, ছত্তিশগড়ে শাসকদলের বিধায়করা

ঝাড়খণ্ডে(Jharkhand) জারি রয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের(Hemant Soren) বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবটিকে দ্রুত প্রকাশ্যে আনার অনুরোধ জানিয়ে রাজ্যপাল(Govornor) রমেশ বইসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শাসকদলের নেতারা। এরপরই শুক্রবার দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল রমেশ বইস।

খনি দুর্নীতি কাণ্ডে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ খারিজের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। অভিযোগ তোলা হয়, হেমন্ত সোরেন জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন করছেন। সেইমতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। এরপর ২৫ অগাস্ট কমিশনের তরফে নিজেদের মতামত জানিয়ে রাজভবনকে মুখবন্ধ খামে চিঠি লেখা হয় কমিশনের তরফে। তবে সেই চিঠিতে কি লেখা হয়েছে তা এখন প্রকাশ্যে আনেনি রাজভবন। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে এই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। এই পস্থিতিতে ওই চিঠি প্রকাশ্যে আনার আবেদন জানিয়েছে ঝাড়খণ্ডের শাসকদল।

শাসকদলের অভিযোগ, রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে বিজেপিকে বিধায়ক কেনাবেচায় সুযোগ করে দিতেই রাজ্যপাল মুখবন্ধ খামে ভরা চিঠিটিকে প্রকাশ্যে আনছেন না। বৃহস্পতিবার শাসকজোটের নেতারা রাজ্যপালকে জানান, রাজ্যে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ কোনও উপায়ে ফেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা রুখতে তাঁর দ্রুত নির্বাচন কমিশনের চিঠিটি প্রকাশ্যে আনা উচিত। শাসকজোট সূত্রের খবর, রাজ্যপাল তাঁদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনবেন। এহেন পরিস্থিতির মাঝে শুক্রবার দিল্লি সফরে গেলেন রাজ্যপাল। অনুমান করা হচ্ছে, এই চিঠি বিষয়েই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে শক্তি পরীক্ষা দেবে জেএমএম, আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র মতো আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে, শাসক-বিধায়কদের দ্রুত নিরাপদ রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্যই হেমন্ত সরকারের এই পদক্ষেপ। নিজের দল এবং সরকারকে অটুট রাখতে আপাতত শাসকজোটের বিধায়কদের কংগ্রেস-শাসিত ছত্তিশগড়ে রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের দিল্লি সফরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা।

Previous articleনির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ, জেল হেফাজতের সময়সীমা বাড়ল নোবেল জয়ী নেত্রীর
Next articleঅবশেষে সুপ্রিমকোর্টে জামিন পেলেন সমাজকর্মী তিস্তা সেতালবাদ