Telengana: রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখতে বলে বিতর্কে জড়ালেন নির্মলা সীতারামন

মোদি সরকার এবং তাঁর মন্ত্রীরা যে সব সময় নিজেদের কৃতিত্ব প্রচার করতে সবসময় ব্যস্ত থাকেন এই ঘটনা যেন তাঁরই প্রমাণ দিল। অনেকে বলছেন অর্থমন্ত্রী জানেন প্রধানমন্ত্রীকে খুশি না রাখতে পারলে, হয়তো তাঁর চেয়ার নিয়ে টানাটানি হতে পারে । তাই তোষামোদেই ব্যস্ত মন্ত্রিসভা।

আইএমএফ (IMF) ঘোষণা করেছে ভারত (India) দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে উন্নতির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। শুক্রবার একটি তালিকা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ব্রিটিশদের পেছনে ফেলে ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশ বলে বিবেচিত হয়েছে। আর সেই দেশের অর্থমন্ত্রী (Finance minister) রেশন দোকানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি খুঁজছেন। শুধু তাই নয় কেন রেশনের দোকানে মোদির ছবি নেই তা নিয়ে কার্যত রেশন ডিলারকে প্রশ্ন করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman)।

শুক্রবার, নির্মলা সীতারামন তেলেঙ্গানার কামারেড্ডি জেলার বীরকুরে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের (Public Distribution System) অধীনস্থ একটি রেশন দোকানে গিয়েছিলেন। সেখানে গ্রাহকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় তিনি লক্ষ্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনও ছবি রেশনের দোকানে নেই। সূত্রের খবর এতেই বিশাল চটে যান দেশের অর্থমন্ত্রী। তিনি সিভিল সাপ্লাই দফতর ও জেলা কালেক্টরেটের আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন কেন দোকানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি নেই? যদিও সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা কেউই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন নি। এতে আরো রেগে যান অর্থমন্ত্রী এবং নির্দেশ দেন ৩০ মিনিটের মধ্যেই দোকানে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ছবি লাগানো বাধ্যতামূলক। আর এই ঘটনার পরেই রাজনৈতিক মহল তথা নেটিজেন্দের সমালোচনার মুখে পড়েছেন নির্মলা। তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হরিশ রাও বলছেন, এটা যে শুধু হাস্যকর তাইই নয়, অর্থমন্ত্রীরএহেন আচরণ প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদাকেও ক্ষুন্ন করে। তাঁর মতে, মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ কার্ডধারীকে প্রতি মাসে ১০ কেজি চাল জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে প্রতি কেজি ৩ টাকায় সরবরাহ করা হয়। বাকি ৪৫-৫০ শতাংশ কার্ডধারীদের তেলঙ্গানা সরকার তাদের নিজস্ব খরচে চাল সরবরাহ করে। অর্থমন্ত্রী এমন আচরণ করছেন যেন মনে হচ্ছে তেলেঙ্গানার মানুষকে ফ্রিতে রেশনের সমস্ত জিনিস দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। শুধু তেলেঙ্গানার অর্থমন্ত্রী নন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এই ঘটনায় কটাক্ষ করছেন অর্থমন্ত্রীকে। মোদি সরকার এবং তাঁর মন্ত্রীরা যে সব সময় নিজেদের কৃতিত্ব প্রচার করতে সবসময় ব্যস্ত থাকেন এই ঘটনা যেন তাঁরই প্রমাণ দিল। অনেকে বলছেন অর্থমন্ত্রী জানেন প্রধানমন্ত্রীকে খুশি না রাখতে পারলে, হয়তো তাঁর চেয়ার নিয়ে টানাটানি হতে পারে । তাই তোষামোদেই ব্যস্ত মন্ত্রিসভা।

 

Previous articleপ্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গোবিন্দচন্দ্র নস্কর
Next articleখাসির মাংসের পর জেলের মেন্যুতে দেশি মুরগী আর টাটকা পোনার আবদার কেষ্টর