পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই। বঙ্গ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলার মানুষ। তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এবার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহারে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি গ্রেফতারের ঘটনায় রাজু ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন জায়গায় কাঁচরাপাড়া, হালিশহরে সিবিআই হানা দিয়েছে। এমনকি কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান, তাঁর হালিশহরের বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌঁছে গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এখানেই থেমে থাকেনি সিবিআই। বীজপুরের বিধায়ক বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর হালিশহরের মঙ্গলদীপের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীর বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। কমল অধিকারী বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই।
আরও পড়ুন:ধৃত রাজু সাহানির ৫ দিন সিবিআই হেফজতের নির্দেশ আসানসোল আদালতের
রবিবার সাতসকাল থেকেই সিবিআই-এর একাধিক টিম হানা দেয় বিভিন্ন জায়গায়। রাজু সাহানিকে গ্রেফতারির পর তাঁর একটি থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে। সিবিআই সূত্রে খবর বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ও তাঁর ভাই-এর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেই তাঁদের বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দ্রা সংস্থার আধিকারিকরা।

সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ”সিবিআই সিবিআই-এর কাজ করছে আমরা আমাদের কাজ করব। সিবিআই এখনও পর্যন্ত কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। এখানে ওখানে রেড করছে, একে তাকে অ্যারেস্ট করছে। প্রমাণ হবে কে দোষী আর কে নির্দোষ। আমরা তো বলছি কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি সিবিআই, ইডিকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। বিরোধীদের দাবিয়ে দিতে এটা করছে বিজেপি। এই সব করে কিছু হবে না। যে দোষ করেছে, সে শাস্তি পাবে, যে দোষ করেনি, সে মুক্তি পাবে। মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে।’