চিটফাণ্ডের শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া সিবিআই, ছুটির দিনে সকাল থেকেই চলছে অভিযান

হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি গ্রেফতারের ঘটনায় রাজু ঘনিষ্ঠ কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ মোট ৭ জায়গায় সিবিআই হানা দিয়েছে। এমনকি কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান, তাঁর হালিশহরের বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌঁছে যান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এখানেই থেমে থাকেনি সিবিআই। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর হালিশহরের মঙ্গলদীপের বাড়িতেও পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। হালিশহরে সুবোধের পৈতৃক বাড়ি ছাড়াও কলকাতায় ৩টি ফ্ল্যাটে হানা দেয়। টালা পার্ক, পাইকপাড়া ও লেক টাউন ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআইয়ের। বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর সহায়ক অভিজিৎ শিকদারের বাড়িতেও হানা দিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন:চিটফান্ডকাণ্ডের তদন্তে তৎপর সিবিআই, বীজপুরের বিধায়কের বাড়িতেও হানা
রবিবার সকালেই প্রথমে বীজপুরে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে কোনও নথি না পেয়ে বেলা বাড়তেই টালা পার্ক, পাইকপাড়া ও লেকটাউনের ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা।টালা পার্কের পর কলকাতার দক্ষিণদাঁড়িতে একটি বিলাসবহুল আবাসনের ফ্ল্যাটেও পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ওই আবাসনের আটতলায় সুবোধ অধিকারীর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ থাকায় প্রথমে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর লেকটাউন থানায় যান আধিকারিকরা। এরপর তালা খুলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে তল্লাশি চলছে তৃণমূল বিধায়কের লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ি ও পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে। সিবিআই সূত্রে দাবি, মোট ৭টি জায়গায় চলছে তল্লাশি।

সিবিআই-এর হাতে ধৃত রাজু সাহানি রাজনৈতিক মহলে সুবোধ অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচত বলে সূত্রের দাবি। এমন পরিস্থিতিতে সুবোধ অধিকারী এই বিষয়ে কিছু জানতেন কি না, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। যদিও রাজু সাহানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করলেও, চিটফান্ড-যোগ অস্বীকার করেছেন কাঁচরাপাড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী।

Previous articleদেশে কর্মসংস্থান তলানিতে,পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব: অস্বস্তিতে মোদি সরকার
Next articleমহারাষ্ট্রে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃ*ত্যু বাংলার ছেলের