চার দিনের ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিকালে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন:গরু পাচার ইস্যুতে ভারতের ধৈর্য্য দেখানো উচিত, তিস্তা-সংখ্যালঘু সহ একাধিক ইস্যুতে সরব হাসিনা
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, জলবণ্টন, রেল, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি-সহ সাত চুক্তি সই করা হতে পারে। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আশা করব, শেখ হাসিনার সফর সফল হবে। আমাদের লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে এই সফর।’’ জ্বালানি নিয়েও দু’দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। দু’দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে মোমেন আরও জানিয়েছেন যে, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। চুক্তির সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে।

বাংলাদেশ সরকারের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, চলতি সফরে হাসিনা তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে স্পষ্ট আশ্বাস চান। ২০১২ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বাংলাদেশ সফরেই এই জলচুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। বাংলাদেশ চাইছে তিস্তার জল চুক্তি নিয়ে ভারত সময়সীমা বেঁধে দিক। তাঁর দেশে জলের অভাব নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। বহু জেলায় জলের অভাবে পাটচাষিরা সমস্যায় পড়েছেন।

মনে করা হচ্ছে, তিস্তা নিয়ে কতটা আশ্বাস মিলবে সফরের মাঝামাঝি তার ইঙ্গিত মিলতে পারে। তবে দুই দেশই এই সফরে দ্বিপাক্ষিক আরও কিছু বিষয়ে অগ্রগতি প্রত্যাশা করছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ভারতে এসেছিলেন হাসিনা।