রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী বিমা প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, দাঁতের অস্ত্রোপচারের মতো সাধারণ চিকিৎসা সরকারি হাসপাতালে করতে হবে। ব্যয় সংকোচ এবং সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, সরকারি হাসপাতালে যথেষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে এই সমস্ত রোগগুলির অস্ত্রোপচারের জন্য। সেগুলির যথাযথ ব্যবহারের জন্য তাই এই সিদ্ধান্ত।স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, অসুখ জটিল না হলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সরকারি হাসপাতালে হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করাতে হবে। পাশাপাশি ক্যান্সার সার্জারি, দাঁতের যাবতীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, কেবলমাত্র অবস্ট্রাকটেড হার্নিয়া, ইনকারসেটেড হার্নিয়া, স্ট্রাঙ্গুলেটেড হার্নিয়ার ক্ষেত্রে এবং পথ দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তির প্রস্থেসিস, ম্যাক্সিওফেসিয়াল সার্জারি, মুখের ক্যান্সার সার্জারির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে। তবে তার জন্য উপযুক্ত নথি পেশ করতে হবে।
প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার রাজ্য সরকারের সব দফতরের খরচে রাশ টানার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর তার পরেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ২ কোটি ৩০ লাখ পরিবার আওতাভুক্ত হওয়ার পরে বছরে খরচ হচ্ছে ২৬০০ থেকে ২৭০০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্নিয়া-হাইড্রোসিলে সরকারের বছরে খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের বক্তব্য, সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নত পরিকাঠামো রয়েছে। সেই পরিকাঠামোতে হার্নিয়া-হাইড্রোসিলের মতো ছোটখাটো অস্ত্রোপচার সম্ভব।
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই খুলছে টালা ব্রিজ, লক্ষ্মীপুজোর পর যাত্রা শুরু করবে ধনধান্যে