প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জরাজীর্ণ বঙ্গ বিজেপি। তার মধ্যে অক্সিজেন খুঁজতে ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ঠিক তার আগে সাংগঠনিক বিষয়ে বেশকিছু পরিবর্তন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই রয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত ভোট। তাই সংগঠন ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ায় নতুন পদক্ষেপ করলেন গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু এবারও ভরসার নাম “বহিরাগত”।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ঢাকঢোল পিটিয়ে কোনও ফল পাওয়া যায়নি। আকাশ কুসুম চিন্তা করা কিছু দলবদলু ও বহিরাগত নেতাদের সাংগঠনিক রিপোর্টে ভরসা করেই ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির। বঙ্গ বিজেপির নিচুতলার নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের একটি বড় অংশই এমন অভিযোগ তুলেছিল।

আবারও সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা মোট ১৫টি রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং সহ-ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়োগ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পশ্চিমবঙ্গ। বিহারের নেতা মঙ্গল পান্ডেকে বাংলায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এদিন নিয়োগ করেছেন নাড্ডা। তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য এবং সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত। একইসঙ্গে বাংলায় দলের ভারপ্রাপ্ত সহনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়াকে। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী হিসেবে আশা লাকড়া সুপরিচিত। তিনি রাঁচির মেয়র।

এর আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে গত ১০ অগস্ট রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলকে। তবে উত্তরপ্রদেশে দলকে সাফল্য দেওয়া সুনীলের হাতে রয়েছে বাংলা ছাড়াও ওড়িশা ও তেলঙ্গানার দায়িত্ব। এ বার শুধুই বাংলার জন্য পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডেকে। এক সময়ে বিহারের রাজ্য সভাপতিও ছিলেন মঙ্গল।

অন্যদিকে, বাংলারই এক সর্বভারতীয় বিজেপি নেতার দায়িত্ব কমিয়ে দিয়েছেন নড্ডা। প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপির জাতীয় সম্পাদক পদে থাকা অনুপম হাজরা এত দিন বিহারের সহ-পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া সত্ত্বেও বিহারে সফর না করা এবং বাংলায় বিজেপিকে বার বার অস্বস্তি ফেলার কারণেই অনুপমের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভিযোগ তৈরি হচ্ছিল। রাজ্য বিজেপির অনেকেই মনে করেছেন সেই কারণেই অনুপমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।

আরও পড়ুন:পুজো মাটি করতে নবান্ন অভিযানে ভয়ঙ্কর হিংসা-অশান্তির ব্লু-প্রিন্ট বানিয়েছে শুভেন্দু
