গার্ডেনরিচে উদ্ধার টাকার পাহাড়! গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বহু কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

শহরে উদ্ধার কোটি-কোটি টাকা। এবার এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর (Transport Businessman) বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ১৬ কোটি টাকা। শনিবার ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তকারী দল হানা দেয় নিসার আলি নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তারপরই উদ্ধার হয় বান্ডিল-বান্ডিল টাকা। ইডি সূত্রে খবর, অনলাইন গেমিং (Online Gaming) অ্যাপের নামে প্রতারণা চক্র (Cheating) চালিয়ে সেখান থেকে টাকা রোজগার করতেন নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমির খান। হিসাব বহির্ভূত একাধিক সম্পত্তিও তাঁর থেকে মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। শনিবার সকালে কলকাতার তিন জায়গায় তল্লাশি অভিযান (Search Operation) চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুর ও গার্ডেনরিচে এই তিন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা।

এরপর গার্ডেনরিচের ই সেভেনে পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে ইডি আধিকারিকদের (ED Officials)। তাঁরা দেখেন, প্লাস্টিকের ব্যাগে থরে থরে সাজানো রয়েছে ৫০০ ও ২০০০ টাকা নোট। খাটের নিচে, হাঁড়ির ভিতর থেকে টাকা উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে ১৬ কোটিরও বেশি নগদ উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনও চলছে টাকা গোনার কাজ। এখনও পর্যন্ত ৮টি টাকা মেশিনে টাকা গোনার কাজ চলছে। পাশাপাশি এদিন নিসারের বাড়ি থেকে মিলেছে সোনার গয়নাও। তবে উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। পাশাপাশি পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসারের নিউটাউন, তারাতলা হাইড রোডে অফিস রয়েছে। এদিন নিউটাউনের অফিসেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। এদিকে, গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছে সিআরপিএফ জওয়ানরা। পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও জওয়ান মোতায়েন রয়েছে গোটা এলাকায়। তবে এই টাকা কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে এসেছে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা নিসার খান ও আমির খানের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে সূত্রের খবর।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, চিনা মোবাইলের গেমিং অ্যাপ ‘ই নাগেটস’ বানিয়েছিলেন নিসার পুত্র আমির খান। আর তাঁর মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা সাধারণ মানুষের থেকে হাতিয়ে নিতেন আমির। ইউজাররা গেম জিতলেই ওয়ালেটে (Wallet) জমা পড়ত টাকা। কোনও সমস্যা ছাড়াই সেই ওয়ালেট থেকে সহজেই সেই টাকা তুলে নেওয়াও যেত। এরপরই লাভের আশায় অতিরিক্ত টাকা বিনিয়োগ করতে শুরু করে ইউজাররা। তবে পরের দিকে মোটা টাকা বিনিয়োগ করলেও লাভের টাকা আর ওয়ালেট থেকে তোলা যেত না। বন্ধ করে দেওয়া হত টাকার তোলার সমস্ত পথ। এমনকি, অ্যাপ থেকে সেই ইউজারের সমস্ত তথ্য মুছে দেওয়া হত। ইউজাররা বুঝে ওঠার আগেই প্রতারণার শিকার হতেন তারা। এদিন ইডির তরফে এদিন আরও জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশের পার্কস্ট্রিট থানায় আমির খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন তদন্তে নেমে উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়।

আরও পড়ুন- ব্রিটেনের রাজসিংহাসনে বসলেন চার্লস, আজীবন দেশ সেবার শপথ


 

 

 

Previous articleরবিতে উত্তরবঙ্গে ঐতিহাসিক চা শ্রমিক সমাবেশ, শনিবার কেন্দ্রীয় কর্মী সম্মেলন মলয়-ঋতব্রতর
Next articleগণেশ বিসর্জনে গিয়ে ২০ জনের মৃত্যু মহারাষ্ট্রে