পরীক্ষার অ্যাডমিটে মোদি-রাজ্যপালের ছবি, ফের সংবাদ শিরোনামে বিহারের কলেজ

পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে কীভাবে জায়গা পেতে পারেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিহারের রাজ্যপালের ছবি? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিমেষে ভাইরাল। রীতিমতো বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

কখনও অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই (Actress Aishwarya Rai), তো কখনও আবার গণেশ (Lord Ganesh) বা হনুমানজির (Hanuman) ছবি। অ্যাডমিট কার্ডে (Admit Card) পরীক্ষার্থীদের নামের পাশে এমনই সব ছবি ছাপিয়ে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের ভুরিভুরি নম্বর দেওয়ার অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। আর এবারও আরও এককদম এগিয়ে পা ফেলেছে বিহারের ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়(Lalit Narayan Mithila University) ।নিশ্চয়ই ভাবছেন এবারের কীর্তি কী? এবার পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডে ছাপা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) ও বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌহান (Governor Fagu Chouhan)এর ছবি। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এও কি করে সম্ভব? পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে কীভাবে জায়গা পেতে পারেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিহারের রাজ্যপালের ছবি? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিমেষে ভাইরাল। রীতিমতো বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

পরীক্ষার্থীরা বিহারের মধুবনী (Madhubani), সমস্তিপুর (Samastipur) এবং বেগুসরাই (Begusarai) জেলায় অবস্থিত কলেজগুলির তৃতীয় বর্ষের কলা বিভাগের (Arts) ছাত্র-ছাত্রী। কলেজগুলির সদর দফতর ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি এলএনএমইউ-এর (LNMU) আওতাধীন মধুবনীর এসএমজে কলেজের স্নাতক বিভাগে ভূগোলের ছাত্রী গুড়িয়া কুমারীর অ্যাডমিট কার্ডে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। পাশাপাশি বেগুসরাইয়ের জি ডি কলেজের স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রবীশকুমার সানুর অ্যাডমিট কার্ডে রয়েছে বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের ছবি। অ্যাডমিট কার্ড হাতে আসতেই ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মুস্তাক আহমেদ জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে সেগুলি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় দায়ের হতে পারে এফআইআরও। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, অ্যাডমিট কার্ডগুলি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছিল। কেউ দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়ে এই কুকর্ম করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনায় শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনামই হয়নি। অপমান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাজ্যপালকেও। এর আগে অ্যাডমিটে কার্ডের ভুল সংশোধন করার দায়িত্ব নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সব দোষ পরীক্ষার্থীদের উপর চাপিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তবে বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ বসে নেই নেটাগরিকরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, এটা কি ইচ্ছাকৃত ভুল নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য। অনেকের মতে, বিহার সরকারের মানচিত্র থেকে কেন্দ্রের বিজেপি তথা মোদি সরকারকে উচ্ছেদ করার পরই গেরুয়া শিবিরের এমন পদক্ষেপ। সম্প্রতি বিজেপির হাত ছেড়ে তেজস্বী যাদবের হাত শক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার। যা সোজাভাবে মেনে নিতে পারেনি বিজেপির শীর্ষনেতারা। যেভাবেই হোক, বিহারবাসী তাঁদের প্রত্যাখ্যান করলেও মন থেকে বিহারকে মুছে ফেলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই এভাবে নরেন্দ্র মোদির ছবি ব্যবহার করে বিহারবাসীর মনে টিকে থাকতে চাইছে বিজেপি।

 

Previous articleফের সেরার সেরা বাংলা, পড়ুয়া-শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleকল সেন্টারের চাকরি থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক ! আমির খানের কীর্তিতে অবাক ইডি