“তখন গ্রেফতার হতে চাইলেন, এখন ‘বাঘ’ সেজে গর্জন!” শুভেন্দুর টুইটের পাল্টা কুণাল

‘সুপার ফ্লপ’ নবান্ন অভিযানে(Nabanna Abhiyan) নাস্তানাবুদ হয়ে রাজ্য পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরাতে শুরু করেছে বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব। মঙ্গলবার রাতে পরপর তিনটি টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shubhendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অমান্য করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। শুভেন্দু অভিযোগের পর পাল্টা টুইট করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) জানতে চাইলেন একথা তিনি আগে বলেননি কেন? তখন তো আমরা সবাই দেখলাম আমাকে গ্রেফতার করুন বলে উনি চিৎকার করছেন। তখন কেন বলেননি, “আমার কাছে কোর্টের নির্দেশ আছে। আমাকে গ্রেফতার করবেন না!”

নবান্ন অভিযানে বেরিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সন্ধে ৬টার কিছু পর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ব্যক্তিগত জামিনে ছাড়া পান শুভেন্দু-সহ নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া বিজেপির অন্য নেতারা। এরপর রাত ১০টা নাগাদ তিনটি ধারাবাহিক টুইট করেন শুভেন্দু। তার মধ্যে দু’টি ভিডিয়ো। ভিডিয়োয় শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর আমার বিরুদ্ধে অন্তত ৩০টি মামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হলে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। অথচ হাই কোর্টের সেই নির্দেশ অমান্য করে, ১৪৪ ধারা জারি নেই এমন এলাকা থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, মহিলা পুলিশ অফিসাররা তাঁকে নিগ্রহ করেছেন। এমনকি পুলিশ হেফাজতে তাঁকে মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা।

শুভেন্দুর সেই মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করে এদিন কুণাল ঘোষ টুইটারে লেখেন, “গতকাল আমরা সকলেই দেখেছি উনি বারবার বলছেন আমাকে গ্রেফতার করুন। কেন তিনি তখন বলেননি আদালতের নির্দেশ আছে আমাকে গ্রেফতার করবেন না। বরং শুভেন্দু ‘হাল ছেড়ে কিছুটা ময়দান ছেড়ে পালানোর মেজাজেই নিজে গিয়ে প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েছিলেন। এখন উনি টুইটারের বাঘ সেজে তর্জন গর্জন করছেন! আসলে উনি একটি কাপুরুষ।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের তিনটি মিছিলের একটিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দুর। সাঁতরাগাছি থেকে সেই মিছিল শুভেন্দুর নেতৃত্বে পৌঁছনোর কথা ছিল নবান্নে। শুভেন্দু গাড়িতে সাঁতরাগাছি যাওয়ার পথেই তাঁকে পিটিএসের কাছে আটকে দেয় হেস্টিংস থানার পুলিশ। পরে দেখা যায় শুভেন্দু বার বার পুলিশকে বলছেন তাঁকে গ্রেফতার করতে। এমনকি তাঁকে গ্রেফতার করা প্রসঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নেওয়ার কথাও বলতে শোনা যায় শুভেন্দুকে। এর পর শুভেন্দু গ্রেফতার হন। নিজে হেঁটে প্রিজন ভ্যানেও ওঠেন। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের পরও শুভেন্দুকে ‘আলুভাতে মার্কা নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল। মহিলা পুলিশকর্মীদের তাঁর গায়ে হাত দিতে নিষেধ করে শুভেন্দুর বলা ‘‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’’ মন্তব্যটি নিয়েও ‘‘সপ্তপদী রিভিজিটেড’’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল। এবার টুইটারে শুভেন্দুর তর্জন-গর্জনকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র।

Previous articleচোখের জলে চিরবিদায়! কফিনবন্দি রানির দেহ পৌঁছল লন্ডনে
Next articleট্রেনের মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বার প্রসব করালেন ডাক্তারি পড়ুয়া