পুরুষ দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু! রাজ্যের কোন বিরোধী নেতার যৌন দোষের ইঙ্গিত দিলেন কুণাল?

সাংবাদিক বৈঠকে ওই নেতার দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু মামলার দ্রুত তদন্তের দাবি কুণাল আরও বলেন, "কোন সে নেতা খুঁজে বের করুক পুলিশ। যার মহিলাতে অ্যালার্জি আর পুরুষ দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে।"

“আমরা দলের তরফ থেকে সরকার ও প্রশাসনকে বলছি, একজন নেতার দেহরক্ষীর আত্মহত্যার মামলায় কেন তদন্ত আটকে আছে? আদালতে মামলার জটিলতা কাটিয়ে অবিলম্বে তদন্ত শুরু করা হোক। একজন মানসিক বিকৃত সমকামী নেতা তার প্রাক্তন এক নিরাপত্তারক্ষীকে শারীরিক নির্যাতন করতো। সেই নিরাপত্তারক্ষী যদি সত্য সামনে নিয়ে আসে, সেই আশঙ্কা করে খুন করা হয়। আর সেটা আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে। আমরা কারও নাম করছি না, পুলিশ তদন্ত করে নাম প্রকাশ করুক।” আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই চাঞ্চল্যকর ও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শাসক দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যদিও তিনি কোনও নেতার নাম বলেননি। এমনকী, তিনি জানিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করছেন না তিনি। কিন্তু তাঁর ইঙ্গিত ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- কর্মসংস্থানে বাংলাকে ১ নম্বরে নিয়ে যাব: খড়্গপুরে নিয়োগপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ওই নেতার দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু মামলার দ্রুত তদন্তের দাবি কুণাল আরও বলেন, “কোন সে নেতা খুঁজে বের করুক পুলিশ। যার মহিলাতে অ্যালার্জি আর পুরুষ দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একদা নিরাপত্তা রক্ষীর রহস্য মৃত্যু নিয়েও অনেক জলঘোলা হয়েছিল। যদিও সেই তদন্ত এখন আইনি জটিলতার কারণে ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। নাম না করলেও কুণাল ঘোষ কি সেদিকেই ইঙ্গিত করলেন? রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।

এদিকে এদিন শুভেন্দুকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে ধুয়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “শুভেন্দু এখন পুরুষকে মহিলা দেখছে, মহিলাকে পুরুষ দেখছে। যে পুলিশ অফিসার ছুটিতে আসছেন, তাঁর নাম করছে। আসলে ও ভূত দেখছে। মেরুদণ্ডহীন, কাপুরুষ, নিজে পায়ে হেঁটে পুলিশের গাড়িতে উঠে গেল। বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন মনে নেই? সিঙ্গুরে পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী করেছিল? রাইটার্সে কী করেছিল? শুভেন্দু আগে বলুক, বিনাবাধায় ও পালিয়ে গেল কেন? দিলীপ ঘোষকে তো দেখা গেল মিছিল করতে, বক্তব্য রাখতে।”

এরপরই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন কতটা সুবিধাভোগী ছিলেন, সেই প্রসঙ্গ ফের টেনে আনেন কুণাল। তিনি বলেন, “নির্লজ্জ বেহায়া অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মালিক। অভিষেক আপনার চেয়ে ১৫ বছরের ছোট, তাতেই হাঁটু কাঁপিয়ে দিয়েছে। শুভেন্দু বলুন, আপনার পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলের কতগুলি পদে ছিলেন। আপনার আত্মীয়দের চাকরির তালিকা প্রকাশ করুন। নারদ কেলেঙ্কারিতে যে ফুটেজের ভিত্তিতে তৃণমূলের নেতাদের বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়েছিল, তাহলে শুভেন্দুকে নয় কেন? সরদার মামলায় কেন শুভেন্দু, সৌমেন্দুকে গ্রেফতার করা হবে না?”

বিজেপিতে থাকাকালীন শুভেন্দু বলেছিলেন, অভিষেককে সরিয়ে দিলে সে আবার তৃণমূলে ফিরবে। এই সেই বিষয়টিও প্রকাশ্যে আনেন কুণাল ঘোষ।

 

Previous articleবাংলাদেশের টাকার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে রুপি
Next articleজাতীয় সঙ্গীত থেকে ‘উৎকল-বঙ্গ’ বাদ, এই ভুল মারাত্মক! যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা মমতার