নজরে ২৪, বিবাদ দূরে রেখে পিকের সঙ্গে বৈঠক নীতীশের

কিছুদিন আগেও একে অপরকে আক্রমণের নিশানায় বিদ্ধ করতেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর(Prashant Kishor) ও জেডিইউ(JDU) প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার(Nitish Kumar)। তবে সম্পর্কের তিক্ততা দূরে সরিয়ে বুধবার হঠাৎ পুরনো সঙ্গীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী(Bihar CM)। হাসি মুখে তুললেন ছবি। এরপরই বিহার রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হল, ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ঘুটি সাজাচ্ছেন নীতীশ সেখানে পিকের ভুমিকা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তা আন্দাজ করেই ‘তিক্ততা’ সরিয়ে ‘মিষ্টতা’কেই প্রাধান্য দিচ্ছেন জেডিইউ প্রধান।

বুধবার রাতে নীতীশ কুমারের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। দু’জনের এই সাক্ষেতের পিছনে মুখ্য ভুমিকায় ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা নীতীশের একসময়ের ছায়াসঙ্গী পবন বর্মা (Pawan Verma)। জানা গিয়েছে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয় দু’জনের। তবে বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে কেউই স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন নীতীশ। আর সেখানেই সাফল্য পেতে পিকের তীক্ষ্ণ মস্তিস্ককে ব্যবহার করতে চাইছেন নীতীশ।

এদিকে বৈঠকের কথা স্বীকার করে নিলেও পিকের সঙ্গে বিশেষ কোনও আলোচনা হয়নি বলেই দাবি নীতীশের। তিনি বলেন, “আমরা কথা বলেছি। তবে বিশেষ কিছু নিয়ে নয়। সাধারণ কথাবার্তা। এমন নয় যে আমাদের এটা করা উচিত, ওটা করা উচিত। এসব নিয়ে আলোচনা হয়নি। আমরা একে অপরকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। সুতরাং আমাদের দেখা হওয়াটা অন্যায় নিশ্চয় নয়।” আর পিকে পুরোপুরি সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ঘটনা হল, নীতীশ কুমার বিজেপি (BJP) শিবির ছেড়ে বিরোধী শিবিরে নাম লেখানোর কিছুদিন আগেও পিকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপরই তাঁর শিবির বদলের সিদ্ধান্ত। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নীতীশের শিবির বদলের নেপথ্যেও কোথাও না কোথাও পিকে’র মস্তিষ্ক কাজ করেছে। সুতরাং, এই দুই কৌশলীর বৈঠক অরাজনৈতিক হবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।