আমার স্ক্যান করা সই ব্যবহার করা হত! আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ কল্যাণময়ের

৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি

২০১৮ সালের পর থেকে কোনও নিয়োগপত্রে (Appointment Letter) সই করিনি। আমার স্ক্যান করা সই ব্যবহার করা হত। শুক্রবার আলিপুর আদালতে (Alipore Court) তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এমনটাই দাবি করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Gangopadhyay)। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার (Arrest) করে সিবিআই (CBI)। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়৷ আর শুক্রবার দুপুরে কল্যাণময়কে আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাঁকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আরও পড়ুন- জাতীয় যোগাতে সোনার পদক জয় সরণ‍্যা মণ্ডলের

আদালতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, আমি কোনও নিয়োগ পত্রে সই করিনি। আমার সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। আমি ফিজিক্যাল সই করিনি। বিচারক এরপরই পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে সই স্ক্যান (Signature Scan) কে করেছে? জবাবে কল্যাণময়ের আইনজীবী জানান, স্ক্যান করা সই পর্ষদ অফিসেই রাখা থাকতো। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কোনও দারোয়ান নন, তাই তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি তাঁর সইয়ের অপব্যবহার হয়েছে কি না। এরপরই আইনজীবীর অভিযোগ, পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ তিনি নিতেন না, শুধু নির্দেশ দিতেন।

এদিন আদালতে কল্যাণময়কে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন সিবিআই-র আইনজীবীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির আইনজীবী জানান, কল্যাণময় একজন উচ্চবিত্ত পরিবারের মানুষ। সমাজে তাঁর একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৩০বি ধারায় মামলা দায়ের করেছে সিবিআই৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবিষয়ে ঠিকমতো জানেই না। অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণ নেই বলে অভিযোগ। এরপরই বিচারক প্রশ্ন করেন, নিয়োগপত্রে (Appointment Letter) যে সই রয়েছে, তাতে কী বলবেন? জবাবে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির আইনজীবী বলেন, সিবিআই বলছে নিয়োগপত্রে ভুল ছিল কিন্তু ভুয়ো ছিল না। নিয়োগপত্র যাঁদের পাওয়ার কথা ছিল তাঁরা পাননি। কিন্তু তা ভুয়ো নিয়োগপত্র একেবারেই নয়। এর জন্য একজন ষাটোর্ধ্ব অধ্যাপককে যদি সিবিআই হেফাজতে নিতে চায় সেক্ষেত্রে বলার কিছু নেই।