শুভেন্দু “সমকামী” পোস্টারে ছয়লাপ কাঁথি, আসানসোলে ভাইরাল “ডোন্ট টাচ মাই বডি” টি-শার্ট

কাঁথি শহরের মহকুমা শাসকের দফতর সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যাণ্ড, কাঁথি খড়গপুর বাইপাস, কাঁথি মেছেদা বাইপাস–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এই পোস্টারে ছয়লাপ

বিশ্বকর্মা পুজোর সকাল থেকেই ফের খাস্তা হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আসলে বিরোধী “দলনেতা” নাকি “দলনেত্রী”, নাকি আবার “নেতা-নেত্রী”র মাঝামাঝি কিছু একটা, তা নিয়েই দিনভর খোরাক হলেন শুভেন্দু! এবার তাঁর নিজের জেলার নিজের শহরেই ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের পোস্টার পড়ল শুভেন্দুর নামে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে সমকামী পোস্টারে ছয়লাপ৷ যা নিয়ে সেখানে হইচই পড়ে গিয়েছে। মুচকি হাসছেন বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টারের খবর ছড়িয়ে পড়তে বিড়ম্বনায় পড়েছেন লোডশেডিংয়ে জেতা নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অস্বস্তিতে পড়েছে তাঁর দল বিজেপিও। পাড়ায় পাড়ায় চায়ের দোকানে অকৃতদার শুভেন্দুর “লিঙ্গ” নিয়ে ফিসফাস শুরু হয়েছে।

কাঁথি শহরের মহকুমা শাসকের দফতর সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যাণ্ড, কাঁথি খড়গপুর বাইপাস, কাঁথি মেছেদা বাইপাস–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এই পোস্টারে ছয়লাপ। এমনকী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি “শান্তিকুঞ্জ”–এর চারপাশে ছেয়ে গিয়েছে এই পোস্টার। যা নিয়ে মুখ লুকোতে হচ্ছে শুভেন্দুর পরিবারের লোকেদেরও।

কাঁথিতে শুভেন্দুকে নিয়ে সেই বিতর্কিত পোস্টারগুলিতে
ঠিক কী লেখা ছিল?‌ পোস্টারে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি রয়েছে। সেখানে লেখা “সমকামী, আমি উভয়লিঙ্গ, শুধু চাই পুংলিঙ্গ!” যা খোরাক হয়েছে দিনভর। তবে কে বা কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ আবার বেশ কয়েকটি পোস্টারে লেখা হয়েছে, “বাংলার সবচেয়ে বড় চোর”!

এ তো গেল কাঁথির গল্প। এবার আসা যাক আসানসোলে। যেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এবার কটাক্ষ টি-শার্টে! ঠিক যেমনটি হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ক্ষেত্রে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে “পাপ্পু” কটাক্ষ করার পরই রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা “পাপ্পু টি-শার্ট” পড়া শুরু করে। ঠিক একইভাবে তৃণমূল এবার কর্মীদের টি-শার্টে লেখা বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন শুভেন্দুর সেই সংলাপ “ডোন্ট টাচ মাই বডি…”। যদিও তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, পুজোর সময় যাতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে না পড়ে, সে কারণেই এই বিধিবদ্ধ সতর্কতা। রাস্তায়, বাজারে বা মণ্ডপে ভিড় থেকে মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শ। কেউ কারও সঙ্গে যাতে শারীরিকভাবে স্পর্শে না আসে, তার জন্যই এই উদ্যোগ।

আরও পড়ুন- ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকর্মা পুজো হচ্ছে বাংলায়: দিলীপকে ধুয়ে দিলেন কুণাল


 

Previous articleমার্লিন গ্রুপের সহযোগিতায় মার্লিন সিএসজেসি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২
Next articleজয় হিন্দ বাহিনীর উদ্যোগে উত্তর কলকাতায় ঘুরে ঘুরে ঘুড়ি বিতরণ