আশার আলো! ‘IVF’ পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই নয়া নজির SSKM-র

মাত্র তিনটি পরীক্ষা। কয়েকটি ওষুধের অদলবদল। আর তারপরই হাতেনাতে মিলল ফল। এ যেন ঠিক ম্যাজিকের মতো। মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই সন্তানসুখ (Child Happiness) পেতে চলেছেন এক দম্পতি (Married Couple)। যেখানে শহর কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল দম্পতিকে সাফ জানিয়ে দেয় তাঁরা কখনও সন্তানসুখ পাবেন না। সেখানে আশার আলো দেখাল শহরেরই মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল SSKM। পিজি হাসপাতালের সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ইনফার্টিলিটি অ্যান্ড আইভিএফ (IVF) সেন্টারে যাওয়ার পরই মাত্র দু-একটা ওষুধে বদল। আর তারপরই হাসি ফুটল দম্পতির মুখে। বেসরকারি সব হাসপাতালকে ছাপিয়ে ফের সাফল্যের নজির গড়ল এসএসকেএম।

নিঃসন্তান দম্পতিদের জন্য খুশির খবর শুনিয়েছিল পিজি হাসপাতাল। জানানো হয়েছিল আগামী নভেম্বর থেকেই নিখরচায় শহর কলকাতার অভিজাত মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে মিলবে বন্ধ্যাত্বের (Infertility) চিকিৎসা। গরিব, নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগে খুশি নিঃসন্তান দম্পতিরা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আর্থিক সমস্যায় বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করাতে পারেন না। তাদের জন্যই এবার থেকেই হাসপাতালে চালু হয়েছে বিশেষ উৎকর্ষ কেন্দ্র (Centre of Special Excellence)। সেখানেই বিনা খরচে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করানো যাবে।

এসএসকেএম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ এবং প্রসূতি বিভাগ (Department of Gynecology and Obstetrics) সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে মূলত অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজি (Assisted Reproductive Technology)। ইনভেট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ-এর পাশাপাশি প্রয়োগ করা হবে ইন্ট্রাসাইটোপ্লাজমাটিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন (Intracytoplasmic Sperm Injection)। এর বাইরেও সাহায্য নেওয়া হবে অন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিরও। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, চিকিৎসক, নার্স এবং প্রযুক্তিবিদদের প্রশিক্ষণের কাজের বরাত পেয়েছে চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষের প্রতিষ্ঠান। ই-টেন্ডারের মাধ্যমে বিশিষ্ট এই বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ৬ মাসে পিজি হাসপাতালের আইভিএফ উৎকর্ষ কেন্দ্রে এমন অগুনতি ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ডা. সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার ও তাঁর ছয় সহকর্মী। অন্তত ১৫০ জন দম্পতি কৃত্রিম উপায়ে গর্ভধারণের জন্য তৈরি। নভেম্বর থেকেই আইভিএফ শুরু হবে। ডা. সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য ভবনে একদফা আলোচনা হবে। এই কয়েক মাসে যাঁদের চিকিৎসা হয়েছে, তাঁদের বিশদ তথ্য রিপোর্ট আকারে তুলে দেওয়া হবে। সুদর্শনবাবুর কথায়, নভেম্বর থেকে আইভিএফ চালু হবে। দেশে প্রথম সরকারি উদ্যোগে এমন কৃত্রিম প্রজনন পিজি হাসপাতালে শুরু হয়েছে।

Previous articleমোদি নন, ED-CBI এর অপব্যবহার প্রসঙ্গে শাহ-শুভেন্দুদের দিকে আঙুল মমতার
Next articleNIA-এর হাতে গ্ৰেফতার মাওবাদী নেতা সম্রাট চক্রবর্তী