মোদি নন, ED-CBI এর অপব্যবহার প্রসঙ্গে শাহ-শুভেন্দুদের দিকে আঙুল মমতার

ইডি-সিবিআইয়ের(ED CBI) অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে সোমবার প্রস্তাব পাশ করেছে রাজ্যসরকার(State Govt)। বিধানসভায় এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮৯ টি এবং বিপক্ষে ৬৪ টি ভোট পড়েছে। বিধানসভায় এই প্রস্তাবের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ইডি সিবিআইয়ের এহেন অপব্যবহার প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) কিছু জানেন না, যা করছে সেটা বিজেপি করছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের বিরুদ্ধেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তথ্য সহ তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ব্যর্থতার পুর্নাঙ্গ খতিয়ান।

এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এ সবের জন্য তিনি দোষ দিতে রাজি নন। তাঁর কথায়, “সিবিআই এখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে আছে। কলকাতায় ২১টা ইডি রেড হয়েছে। এক মাসে ১০৮টা কেস করেছে সিবিআই, ইডি। আমি বিশ্বাস করি না, এটা নরেন্দ্র মোদি করছেন। বিজেপি নেতারা এসব করছেন। কিন্তু তোমরা বুনো ওল হলে আমি বাঁঘা তেতুল!” অর্থাৎ নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের আঙুল তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি অমিত শাহদের দিকে। একইসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইডি সিবিআই যাক। তদন্ত করে দেখিয়ে দেব আমরা। ওর বাড়িতে কত টাকা, কটা ট্রলার, কটা বাড়ি, কটা বাস রয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আমাকে শেখানো দরকার নেই।” পাশাপাশি ইডি সিবিআই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একটি সতন্ত্র সংস্থা। তারা নিজেদের মত করে কাজ করবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। একপেশে তদন্ত হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের সকলকে ধরুক। আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু একদিকে টার্গেট করে হচ্ছে। এটা মানা যায় না। সিবিআই নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করলে আপত্তি নেই। বিএসএফ, ‘র’ সব আছে। তারা ভাল করে কাজ করুক! কিন্তু এটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্ল্যান আর স্থানীয় বিজেপির।”

এছাড়াও বিধানসভার অধিবেশনে মমতা বলেন, “একটা রেজোলিউশন (প্রস্তাব) সরকার আনতেই পারে। এটা ক্রিতদাসদের সরকার নয়! এটা স্বাধীনচেতা সরকার।” মমতা আরও বলেন, “গেরুয়া সেজে বসেছেন চোর। দেখে নেবে বলছে! যারা গ্যাস বেলুনের মতো ফুলেছ, শেষ হয়ে যাবে। নিরপেক্ষতা আনতেই এই প্রস্তাব। মধ্যরাতে কারও কারও বাড়ি চলে যাচ্ছে! তৃণমূলে থাকলে চোর আর বিজেপিতে গেলে ওয়াশিং মেশিন!” মমতার আরও অভিযোগ, ২০১৬ ও ২০২১ সালেও বিজেপি একই রকম চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে এসব পরিকল্পনা করছেন কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় বিজেপি নেতারা।”

Previous articleSSC দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা ইডি-র, ‘অপা’-র ১০৩ কোটির সম্পত্তির খতিয়ান
Next articleআশার আলো! ‘IVF’ পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই নয়া নজির SSKM-র