মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে নয়া সংযোজন, এক ধাক্কায় বাড়তে পারে চালের দাম !

এমনিতেই আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি মেনে বৃদ্ধি করা হয়েছে রেপো রেট

দেশের মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে নয়া সংযোজন। এবার বাড়তে পারে চালের দাম। খরিফ মরশুমে ধানের বপন কম হওয়ার কারণেই ধাক্কা খেতে পারে দেশের অর্থনীতি। প্রায় ৬০-৭০ লাখ টন ধান উৎপাদন কম হওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ স্কুলে গুলি সেনার,মায়ানমারে নিহত কমপক্ষে ৬ পড়ুয়ার

এমনিতেই আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি মেনে বৃদ্ধি করা হয়েছে রেপো রেট। যদিও ধানের ফলন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফের বাড়তে পারে চালের দাম। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনেও দেশে মূদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পাবে। মনে করা হচ্ছে, জুন-সেপ্টেম্বরে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এখনও বিদায় না নেওয়ায় ধানের ফলন নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
ভারতের ধান উৎপাদন ২০২১-২২ শস্য বছরে ১৩২.২৯ মিলিয়ন টন হয়েছে, যা এক বছর আগের ১২৪৩.৭ মিলিয়ন টন থেকে বেড়েছে। খাদ্য মন্ত্রক অনুমান করছে, এই বছরের খরিফ শস্যের মরশুমে চাল উৎপাদন ৬০-৭০ লক্ষ টন কম হবে।মনে রাখতে হবে, দেশের মোট ধান উৎপাদনে খরিফ মরশুমের অবদান প্রায় ৮৫ শতাংশ।
চলতি খরিপ মৌসুমে ভারতে চালের উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন কমবে। বিভিন্ন রাজ্যে আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় এবার ধান রোপণ কম হয়েছে। গত খরিপ মৌসুমে যেখানে গোটা ভারতে ৪০৩ দশমিক ৫৮ লাখ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছিল, সেখানে এবার এখন পর্যন্ত হয়েছে ৩২৫ দশমিক ৩৯ লাখ হেক্টরে। ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয় এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। তবে উৎপাদন কমলেও তাতে দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেবে না বলে দাবি সরকারের।

ভারতের খাদ্যসচিব সুধাংশু পান্ডে গত শুক্রবার এসব তথ্য দিয়ে বলেন, এ বছর গোটা দেশে সমানভাবে বর্ষা হয়নি। কোনও কোনও রাজ্যে ভালো বৃষ্টি হলেও তা ছিল পরিমাণে কম। তবে যেসব রাজ্যে ভালো বৃষ্টি হয়েছে, সেগুলোতে ধানের উৎপাদন আশানুরূপ হলে চালের ঘাটতি কমে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টন হতে পারে। আপাতত যা মনে হচ্ছে, তাতে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন উৎপাদন কম হবে।

এ আশঙ্কার দরুণ ভারত সরকার সম্প্রতি বাসমতি ছাড়া অন্য চাল রফতানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছে। তা ছাড়া খুদ রফতানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। তাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা যাবে বলে ধারণা কেন্দ্রীয় সরকারের।

খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, বৈশ্বিক কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খুদের চাহিদা খুব বেড়েছে। সে জন্য এটির রফতানি বেড়ে যায়। এর ফলে দেশে খুদসহ চালের দামও বাড়ছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ খোলাবাজারে খুদের কেজি ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ইতিমধ্যে ২২ টাকাতে উঠেছে। এতে পোলট্রিজাত পণ্যেরও মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, গত চার বছরে খুদ রপ্তানি বেড়েছে ৪৩ গুণ। ঘরোয়া বাজারে দাম যাতে না বাড়ে, সে জন্য ভারত সরকার এ বছর বেশ কিছু খাদ্যশস্য রফতানি নিষিদ্ধ করেছে।

Previous articleইনসাফ সভা: ধর্মতলা চত্বর বাম যুব সংগঠনের দখলে, ভিড়ে সভাস্থল পরিবর্তন
Next articleডলার নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে টাকায় বাণিজ্য করতে সম্মত SBI