‘পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ স্কুল চালু করতে নয়া নীতি আনবে সরকার’, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

পড়ুয়ার অভাব সহ বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুল পুনরায় চালু করতে নয়া নীতি তৈরি করতে চাইছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, বন্ধ স্কুলগুলো খোলার জন্য সরকার নতুন করে নীতি আনবে। অনেকে বলেছেন, বিভিন্ন স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে শিক্ষা দফতর সমীক্ষা করছে। কী কারণে স্কুল বন্ধ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ব্রাত্য বাবু আরও জানান, বন্ধ স্কুলগুলির দূরত্ব, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ইত্যাদি অনুঘটকের ভিত্তিতে সমীক্ষা করা হবে । সেই তথ্য এলে সামগ্রিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, যে যে স্কুল বন্ধ আছে, সেই সব স্কুল সম্পর্কে স্থানীয় বিধায়ক এবং জেলাশাসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হবে। যেসব স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কম আছে সেগুলো নিয়ে ক্লাস্টার তৈরি করার পরিকল্পনা আছে।

শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির অবস্থা ভালো নয়। একসময়ের বহু নামী স্কুলও এখন ছাত্রছাত্রীর অভাবে ধুঁকছে। এ বার এই স্কুলগুলি নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। কীভাবে এই স্কুলগুলিকে আবার সক্রিয় করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে। এদিকে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এ দিন ব্রাত্য বাবু বলেন, ৬ বছর পর আদালতের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই শূন্যপদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।

সম্প্রতি বেশ কিছ স্কুল থেকে পোশাকের রঙ নিয়ে অভিযোগ সামনে এসেছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের পোশাকের রঙ পরিবর্তনের বিষয়টি অনেকেই মানতে পারছেন না। এ দিন বিধানসভায় সেই পোশাকের রঙ আগের মতো করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করেন বিজেপি বিধায়কেরা। উত্তরে ব্রাত্য বসু উল্লেখ করেন, গুজরাত ও অসম সরকার আগেই তাদের রাজ্যে পোশাকের রঙ পরিবর্তন করেছে। এ ছাড়া মন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী স্কুলের ক্ষেত্রে পোশাকের রঙে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।

Previous articleUPA আমলে ৬০% থেকে NDA-তে ৯৫%: মোদি জমানায় CBI জালে শুধুই বিরোধীরা
Next articleফের রাজ্যের ২ আইপিএস অফিসারকে দিল্লিতে তলব ED-র