থাকার জায়গা পাচ্ছেন না মিঠুন, পুজো উদ্বোধন নিয়ে অনিশ্চয়তা

উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় এবার পুজোর কর্মসূচি রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। প্রাক পুজো সম্মিলনিতে যোগ দিতে কলকাতা এসেছেন তিনি। পাশাপাশি বিজয়া সম্মিলনিতেও তিনি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার)

পুজোর শুরুতেই ধাক্কা খেলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এবার জেলায় জেলায় সাংগঠনিক কাজে এবং বিজেপি প্রভাবিত বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করার কথা আছে মিঠুনের। কিন্তু তাঁর সেই পুজো সফরের শুরুতেই বিতর্ক। জেলায় তাঁর থাকার জায়গা নেই। সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি যেমন মেলেনি, একইভাবে কোনও হোটেল মালিক মিঠুনকে থাকতে দিতে নারাজ।

উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলায় এবার পুজোর কর্মসূচি রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। প্রাক পুজো সম্মিলনিতে যোগ দিতে কলকাতা এসেছেন তিনি। পাশাপাশি বিজয়া সম্মিলনিতেও তিনি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুরে সাংগঠনিক কাজে এবং একটি পূজা মন্ডপের পূজা উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে আগামীকাল রবিবার, মহালয়ার দিন মিঠুনের এই কর্মসূচি। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সার্কিট হাউসে তাঁর থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি জেলার কোনও হোটেলও মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য ঘর দিতে চায়নি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিজেপি নেতৃত্ব মালদার গোল্ডেন পার্ক হোটেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

বালুরঘাট পাওয়ার হাউস সংলগ্ন এলাকার নিউটাউন পল্লী পাঠাগারে দুর্গাপূজার উদ্বোধন করার কথা মিঠুন চক্রবর্তীর। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতিই শুরু করে দিয়েছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সার্কিট হাউস-সহ জেলার কোনও হোটেল মিঠুন চক্রবর্তীর থাকার জন্য ঘর বুকিং না দেওয়ায় হতাশ পূজা উদ্যোক্তারা। তবে যেকোনও মূল্যে মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়ে বালুরঘাটের এই পূজার উদ্বোধন করানো হবে, এমনটাই জানাচ্ছেন পুজো
উদ্যোক্তারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীকে দিয়েই পূজোর উদ্বোধন করা হবে। তাঁর থাকার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে বলেন, “বাংলার মানুষ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে গোলাপ, মালা দিয়ে বরণ করবেন। কিন্তু রাজনীতিতে তাঁর মতো একজন সুবিধাবাদী বেইমানের সঙ্গে এ রাজ্যের মানুষ নেই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোন বলে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে ছিল।”

Previous articleBank Holiday: অক্টোবরে দেশ জুড়ে ২১ দিন বন্ধ ব্যাংক, বাংলায় ছুটি হাতেগোনা
Next articleকোন্নগরের নবগ্রামে পুজোর চমক মায়াপুরের ইস্কন মন্দির