সরকারের গোপন প্রতিবেদন; বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশনা মানা হয়নি অনেক মণ্ডপে

খায়রুল আলম, ঢাকা

মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো ঘিরে মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যে নির্দেশনা ছিল, তা পালন করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে একটি প্রতিবেদনে। সম্প্রতি প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিষয়টি জানানো হয়েছে পুজো উদযাপন কমিটির নেতাদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এখনও অনেত পুজো মণ্ডপে লাগানো হয়নি সিসি ক্যামেরা, গঠন করা হয়নি স্বেচ্ছাসেবক দল এবং অনিরাপদ স্থানে স্থাপন করা হচ্ছে অস্থায়ী পূজামণ্ডপ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশনা অনুসরণ না করে মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত করলে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার দায়ভার সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকেই নিতে হবে, যে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনের শেষের অংশে বলা হয়েছে, পুজো শুরু হওয়ার আগেই কমিটি বিষয়ক দ্বন্দ্ব সমাধান করে দুর্গাপুজো নির্বিঘ্ন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি শেষ সময়ে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে স্থায়ী মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ও কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্রাম্যমাণ বা অস্থায়ী মণ্ডপে এখনও নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে।’

বাংলাদেশে এবার ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পূজার নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকেও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৯টি নির্দেশনা প্রদান করেন। যার মধ্যে ছিল-

পূজামণ্ডপে অন্য বাহিনীর ছাড়াও ২৪ ঘণ্টা আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে,

গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা নজরদারি করবে,

সব মণ্ডপে বাধ্যতামূলক সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে,

এমন জায়গায় পুজোমণ্ডপ করা যাবে না যেখানে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না,

পুজোমণ্ডপের স্বেচ্ছাসেবকদের বাধ্যতামূলকভাবে হাতে আর্মব্যান্ড পরতে হবে,

যেকোনো গুজবের ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখা হবে,

বিশেষ করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করা হবে, কোনো ধরনের গুজব ছড়ানোকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।

এছাড়াও পুজোর সময় পুলিশ সদর দপ্তর এবং জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা যাবে, থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজানের সময় পুজোমণ্ডপে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ সহনীয় রাখতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ঝুলনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন হরমনপ্রীত, প্রীয় ঝুলুদিকে তুলে দেওয়া হল বিশেষ স্মারক

Previous articleঝুলনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন হরমনপ্রীত, প্রীয় ঝুলুদিকে তুলে দেওয়া হল বিশেষ স্মারক
Next articleকলকাতা লিগ খেলবে না এটিকে মোহনবাগান