তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজোর সঙ্গে আমবাঙালির মতো তাঁরও আবেগ জড়িয়ে। তার ওপর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি মিলেছে। শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করতে হচ্ছে তাঁকে। ব্যস্ততার কারণে সশরীর যেতে পারছেন দূরের জেলাগুলোয়। তবুও তিনি বঞ্চিত করছেন না জেলার পুজোগুলোকে। শহর থেকেই প্রতিদিন বহু পুজোর উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহালয়ার দিন চেতলা অগ্রণী থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২৫৩ টি পুজো রাজ্য জুড়ে ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন। এবার দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার ত্রিধারা সম্মিলনী থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ৪০০ টিরও বেশি পুজো রাজ্য জুড়ে ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জেলাওয়াড়ি প্রতিটি পুজোর নাম ঘোষণা করা হয়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “কাজ করতে গেলে ভুল হয়। তুমি ভুলটাকেই শুধু বড় করে দেখাচ্ছ। ভুল করারও অধিকার আছে। ভুল সংশোধন করার কথা তো বলতে পারো। রাইট চিহ্ন আছে বলেই তো রং চিহ্ন আছে। ওদিকে তাকাবেন না সমালোচকদের দিকে। ওরা যত বেশি বলবে , আমি তত বেশি জাগব। আমাকে রাগাবেন না , আমি না রাগলে শান্ত।”
ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কালচারাল হেরিটেজ পুরষ্কার পেয়েছে রাজ্য, সারা পৃথিবীর অসংখ্য বন্ধু-বান্ধবরা আসছেন। জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার-রা আগে থেকে পরিকল্পনা করে নেবেন৷ জেলা হেডকোয়ার্টারে হতে চলেছে পুজো কার্নিভাল। আমার খারাপ লাগত, যখন দিল্লিতে সাংসদ ছিলাম বলত বাংলায় কিছু হয় না। ওখানে ভায়োলেন্স হয়। আমি তখন স্বপ্ন দেখতাম বাংলাকে সেরা করব। আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় জানতাম, আমরা আসব। তাই আগে থেকেই রেলের প্রজেক্ট দিয়েছিলাম। প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। ”

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, আগামী ৮ অক্টোবর কার্নিভাল হবে রেড রোডে। এর পাশাপাশি জেলাগুলির পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন প্রসঙ্গ তিনি বলেন, “অনেক মানুষ চায় , কেন আমরা যাই না। গেলে খুশি হয়। ফিজিক্যালি যাওয়া সম্ভব না। মনের দূরত্ব নেই। এই বিরাট আকারে উদ্বোধন হল। এর জন্যই আমরা পুরস্কার পেয়েছি। জেলাতেও কার্নিভাল হবে।” পূজো উদ্বোধনের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষন নাম প্রকাশ থামিয়ে ইন্দ্রনীল ও বাবুল সুপ্রিয় কে গান গাওয়ার অনুরোধ জানান। মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধে গান করেন বাবুল সুপ্রিয় ও ইন্দ্রনীল সেন।

আরও পড়ুন- জল জীবন প্রকল্পেও বাংলার মাথায় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা: টুইটে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত মহালয়ার পর পরই বিভিন্ন জেলাগুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয় প্রত্যেকটি জেলা থেকে যাতে অন্তত ৩০টি করে পুজোর তালিকা পাঠানো হয়। সেই মতো গতকালের মধ্যেই সেই তালিকা এসে পৌঁছয় নবান্নে। নবান্ন সূত্রে খবর, মোটের উপর প্রায় ৬০০-এর কাছাকাছি পুজো তালিকা এসে পৌঁছেছে। যার মধ্যে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ সন্ধ্যাবেলায় ৪০০টেরও বেশি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার বাকি এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ প্রায় ২০০টির কাছাকাছি পুজো উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার এই পুজোগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ভার্চুয়ালি করবেন আলিপুর বডিগার্ড লাইন থেকে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আলিপুর বডিগার্ড লাইন থেকে বিভিন্ন জেলার এই পুজোগুলির ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- এবার গার্ডেনরিচের আমির খানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকার হদিশ
