অবশেষে স্বস্তি: পরিবহনমন্ত্রীর আশ্বাসে ৭দিন পর উঠল SBSTC-র অস্থায়ী বাসকর্মীদের ধর্মঘট

“পুজোর মুখে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীদের ২৬ দিনের কাজের একটা দাবি ছিল। আমি এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি।

আলোচনা চলছিল। বেশি কিছু প্রস্তাব মানার পরেও বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেননি SBSTC-র অস্থায়ী বাস কর্মীরা। কড়া পদক্ষেপের কথাও বলেন পরিবহনমন্ত্রী। অবশেষে ৭দিন পরে মঙ্গলবার সন্ধেয় ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন SBSTC-র অস্থায়ী বাস কর্মীরা। মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehashis Chaktraborty) জানান, বুধবার থেকেই বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার আশা রয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের ২৬ দিনের কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন আন্দোলনকারীরা। পুজোর আগে শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, আইনি পদক্ষেপ করার কড়া মনোভাবের কথাও বলেন স্নেহাশিস। এমনকী, পুজোর শুরুতে যাত্রী দুর্ভোগ যাতে না হয় সেজন্যও আন্দোলনকারীদের কাছে অনুরোধও করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “পুজোর মুখে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। অস্থায়ী কর্মীদের ২৬ দিনের কাজের একটা দাবি ছিল। আমি এসবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি দায়িত্ব নিচ্ছি। ২৬ দিনের কাজ ওদের দেওয়া হবে। আমি পুজো মিটলেই কথা বলব ওদের সঙ্গে।”

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সাত দফা দাবিতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করায় বাস পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ দূরপাল্লার যাত্রীরা সরকারি বাসের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। পুজোর মুখে একান্ত বাধ্য হয়ে দূরপাল্লার যাত্রীদের বেছে নিতে হচ্ছে বিকল্প বেসরকারি বাস। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে দু-তিনগুণ ভাড়া চাইছিল বেসরকারি বাসগুলি। যার জেরে চরমে উঠেছিল যাত্রী ভোগান্তি। অবশেষে স্বস্তি। আন্দোলনকারীরা জানান, রাজ্য সরকারের উপর তাঁদের আস্থা আছে। পরিবহনমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতেই তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন। বুধবার থেকেই রাস্তায় গড়ানোর সম্ভাবনা SBSTC-র বাসের চাকা।

Previous articleপিছিয়ে পড়া শিশুদের সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ মণীন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের
Next articleএবার গার্ডেনরিচের আমির খানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকার হদিশ