বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল, উপত্যকায় অস্ত্রভান্ডারের হদিশ

উৎসবের মরশুমেও উপত্যকায় খোঁজ মিলল অস্ত্রভান্ডারের। নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে, জম্মু ও কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টর থেকে উদ্ধার হয়েছে সাতটি একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল এবং চিনা গ্রেনেড-সহ বিপুল অস্ত্র। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত করে কোনও নাশকতার ছক কষছিল জঙ্গি বাহিনী নাকি অন্য কোনও অভিসন্ধি ছিল, তা খতিয়ে দেখছে নিরাপত্তারক্ষীবাহিনী।

আরও পড়ুন: উপত্যকায় ফের সাফল্য, যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ ৩ জইশ জঙ্গি

সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার গুরেজ সেক্টরের নৌশেরা নাদ এলাকা থেকে ওই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের খোঁজ পায় ভারতীয় সেনা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অস্ত্রভান্ডারে অভিযান চালায় তারা।উদ্ধার হয় ৭টি একে-৪৭, ২টি পিস্তল, ২১টি একে ম্যাগাজিন, ১৩টি গ্রেনেড । পাশাপাশি আরও কিছু যুদ্ধাস্ত্রের খোঁজ পাওয়া গেছে। শ্রীনগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পিআরও, কর্নেল এমরন মুসাভি জানান, মাটি খুঁড়ে ওই অস্ত্রশস্ত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেনাবাহিনী ও কাশ্মীর পুলিশের দাবি, এর ফলে সীমান্তের ওপারের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নাশকতার ছক বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। উপত্যকা জুড়ে অশান্তি তৈরির যে চেষ্টা চলছিল, সেটাও বেশ খানিকটা বানচাল করা গেছে।

প্রসঙ্গত , গত ২৮ সেপ্টেম্বর, জম্মু কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় পরপর বিস্ফোরণ হয়েছিল। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পেট্রোল পাম্পের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে বিস্ফোরণ হয়। ২ জন আহত হন। কয়েকঘণ্টা পর, সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় উধমপুর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড় করানো আরেকটি বাসে। হতাহতের খবর মেলেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও পুলিশের ডগ স্কোয়াড। বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। কিন্তু পর পর এমন বিস্ফোরণে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

Previous articleদেবী বোধনের দিনই চালু হতে চলেছে 5G পরিষেবা
Next articleঅষ্টমীতে ‘অসুর’ বৃষ্টি কী ভেস্তে দেবে পুজোর অঞ্জলি?